রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে কাঁচা মরিচে আগুন, দাম ডাবল সেঞ্চুরি


প্রকাশিত:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৯

আপডেট:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:১০

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

রাজশাহীর বাজারে ক্রমেই বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। আজ ডিমের দাম বাড়তি তো কাল মুরগির বাজারে আগুন। এতে বিপাকে পড়েছেন সব শ্রেণির মানুষ। আর কর্মহীন, দিনমজুর, খেটে-খাওয়া মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি।

রাজশাহীর কাঁচাবাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে দুইশ টাকায় ঠেঁকেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত শুক্রবার ও শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাজারগুলোতে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রির সত্যতা মেলে।

তবে কাঁচা মরিচের হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে ক্ষিপ্ত ক্রেতারা। অন্যান্য পণ্যের ন্যায় ডিম, ব্রয়লার মুরগি, তেল ও চালের মূল্য বৃদ্ধির পর বাড়ল কাঁচা মরিচের দাম। অনেকে কাঁচা মরিচ না কিনেই ফিরছেন বাজার থেকে, বিকল্প হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন গুড়া মরিচ। আপাতত গুড়া মরিচের দাম না বাড়লেও শিগগিরই দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনসাধারণ।

নগরীর মনিচত্বরের সবজি বিক্রেতা শাহিন আলম বলেন, হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। কেন বাড়ল আমরাও জানি না। লোকজন কাঁচা মরিচ কেনা কমে দিচ্ছে। দাম বেশি হলে আমাদেরও লস হয়। কবে নাগাদ কমতে পারে দাম সে কথা তারও জানা নেই বলে জানান বিক্রেতা।

নাজমুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়তি। কোনটা রাখি আর কোনটা খাই। চাল, ডাল, মুরগির পর কাঁচা মরিচে আগুন লাগল। মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ইউসুফ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, মরিচ সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় এমন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তারা মরিচ দিতে পারতেছে না। শীতের শেষে কাঁচা মরিচ সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়াকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।

বাজারে আসা শাহজাহান হোসেন নামের এক যুবক বলেন, একদল মজুদদার ব্যবসায়ীরা সব সময় এমন পরিস্থিতির ফায়দা লুটে। খুব শিগগিরই সব পণ্যের বাজার দর কমানো উচিত। নিয়ত করে বাজারে এসেও কিছু কিনতে পারতেছি না দাম শুনে। সামনে রমজান মাস, জলদি বাজার দর নিয়ন্ত্রণে না আনলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার আরও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারে।

শরিফুল নামের এক দিনমজুর বলেন, যদি এভাবে দাম বাড়তে থাকে তবে না খেয়ে দিন পার করতে হবে। সামনে রোজার মাস আসতেছে তার আগে সব কিছুর দাম এভাবে বাড়লে মানুষ খাবে কি! বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের দেখা উচিত বলে জানান তিনি।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top