স্বাধীনতা দিবসে জনশূণ্য রাজশাহী নগরী (ছবিতে দেখুন)
সকাল ১০টা। রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ১০টা মানুষও নেই। একদম ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ। শুধু জিরো পয়েন্ট নয়, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আজ বৃহস্পতিবার জনশূণ্য ছিল।
আজ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। প্রতিবছরই বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালী দিবসটি পালন করে থাকে। কিন্তু এবছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে জনগনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে রাস্তায় ছিলনা কোন র্যালি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ছিলনা মানুষের জমায়েত। শহীদ মিনারের বেদীতে আজ ছিল না রাশি রাশি ফুলের সমাহার।
এদিকে, রাজশাহীতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর পেট্রোল টিম। সকাল ৯টার পর থেকে তারা সড়কগুলো পরিদর্শন করছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিংও করছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও কাজ করছে নগর ও জেলা পুলিশ। তারই ফলশ্রুতিতে রাজশাহী নগর বলতে গেলে একরকম মরুভূমির মত রূপ নেয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মহানগরীকে এমন ফাঁকা থাকতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান রুবেল তার টাইমলাইনে লিখেছেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মহানগরী কে এমন ফাঁকা থাকতে দিন, আর এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে আপনি নিজেও বাড়িতে নিরাপদে থাকুন। একে অপরের দূরত্ব বজায় রাখুন। সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া করুন। মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। সরকার যেমনটা উপদেশ দিয়েছেন তা মেনে চলুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোন গুজবে কান না দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে সহায়তা করুন। আসুন আমরা সবাই করোনাভাইরাস থেকে সর্তকতা অবলম্বন করি।”
এদিকে, এবার ভিন্ন আবহে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সকল কর্মসূচি আগেই বাতিল করেছে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন।
এ কারণে প্রতি বছরের মত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে ছোট পরিসরে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে অবস্থিত সার্কিট হাউসে সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পতাকা উত্তোলন করেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ও মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরপি/ এএন
বিষয়: স্বাধীনতা দিবস জনশূণ্য রাজশাহী সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: