বেরোবিতে মোটরসাইকেল চুরির পনেরোদিন; সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও শনাক্ত হয়নি চোর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনের নিচ থেকে একটি (ডিসকভার-১২৫ সিসি) মটর সাইকেল চুরির ঘটনার পনেরো দিন পার হলেও আজও চোরকে সনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।
চুরির ঘটনার দিনেই রংপুরের তাজহাট থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন মোটর সাইকেলটির মালিক হাফিজ আল আসাদ। মামলা নং ২৭। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। দুপুর ২:৪০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে মটর সাইকেলটি রেখে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ রুবেল। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে দেখেন মটর সাইকেলটি আগের জায়গায় নেই।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে কালো হেলমেট ও কালোকোর্ট পরিহিত একজনকে মটর সাইকেলটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
মোটরসাইকেল মালিক হাফিজ আল আসাদ রুবেল বলেন, প্রায় পনেরো দিন পার হয়ে গেলেও চোর এর ছবি ভিডিও ফুটেজ থাকা স্বত্বেও মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমি প্রক্টর অফিস এর কর্মকর্তা হয়েও আমার গাড়ির কোন নিরাপত্তা নেই। এতে আমি অনেক টা হতাশাবোধ করছি।
গাড়িটি উদ্ধার করতেও প্রশাসনের তেমন কোনো জরুরি উদ্যোগ দেখছিনা। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজার আলী বলেন, গাড়িটি হারানোর পর মামলা হয়েছে। চোরকে সনাক্ত করার জন্য আমাদের সায়েন্টিফিক এবং ওয়ার্লেস ভিত্তিক কার্যক্রম চলছে।
সিসি ক্যামেরায় চোরকে দেখা গেলেও এখনো কেন ধরা পড়ছেনা এ বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ক্যামেরায় দেখা গেলেও লোকটা পরিচিত না। আমরা বের করার চেষ্টা করছি। বের করতে পারলেই আমাদের মূল একশনে যেতে পারবো। আশা করি খুব দ্রুতই তা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জনিত অবস্থা এবং কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমানকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল থেকে এক ছাত্রলীগ নেতার মোটসাইকেল চুরি হয় যার সন্ধান আজও মেলেনি।
আরপি / আইএইচ-০৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: