রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


হার্ট অ্যাটাক রুখতে করণীয়


প্রকাশিত:
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৩৬

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১১

প্রতিকী ছবি

করোনা মহামারির কারণে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। এর পর সারা বিশ্ব অভ্যস্ত হয়ে পড়ে বাড়ি থেকে অর্থাৎ হোম অফিসে কাজ করার পদ্ধতিতে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, এই কর্মসংস্কৃতি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে কর্মীদেরকে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ভয়াবহ এ তথ্যই উঠে এসেছে। করোনাকালে যারা মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সিঁড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন জার্মানির বিশেষজ্ঞরা।

দেশটির কেআইটি গবেষণা সেন্টারের বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে শরীরের এনার্জি বাড়ে।হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। করোনা সময়ে সাধারণ মানুষ বাইরে যেতে পারছেন না। এই সময়ে সিঁড়ি ব্যবহার হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প।

গবেষকেরা আবার সতর্কও করেছেন, ‘সিঁড়ি ব্যবহার মূলত প্রথাগত কোনা ব্যায়াম নয়। অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত হাঁটতে গেলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা এমনিতে ভালো একটি কার্ডিয়োভাস্কুলার একসারসাইজ। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠার অভ্যাস থাকলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।এ ছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিকসের সম্ভাবনাও কমে। সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা গাড়ি একটু দূরে পার্ক করে কিছুটা পথ হেঁটে অফিস যাওয়ার ফাংশনাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যে পড়ে। এগুলো আপনার জয়েন্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৪০টি সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করুন, তাহলে পা ক্রমশ শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে।

তবে হাঁটুতে কোনো সমস্যা থাকলে সিঁড়ি ভাঙার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনার পুরো পা যেন সিঁড়িতে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পায়ে বাড়তি চাপ দিবেন না।

কম্পিউটারে ঘণ্টা খানেক কাজ করার পর মিনিট দশেক চোখের কাজ বন্ধ রাখুন৷ ফাঁকা পেয়েছেন বলে একটু টিভি দেখে নিলেন বা মোবাইল চেক করলেন, তা কিন্তু হবে না৷ একটু চলাফেরা কি স্ট্রেচিং করলে বা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলে চোখ, ঘাড়, কোমর সবই বিশ্রাম পাবে।

৮-১০ ঘণ্টা কাজের মাঝে কম করে দু’বার খোলা হাওয়ায় ১০-১৫ মিনিট ঘুরে আসুন। কাজের মাঝে উঠে একটু আড়মোড়া ভাঙার মতো করবেন। 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top