রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


রোগি সেজে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী আসছে মানুষ!


প্রকাশিত:
৫ মে ২০২০ ১৮:১৩

আপডেট:
৫ মে ২০২০ ১৮:১৭

প্রতীকী ছবি

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ দেশের সকল গণপরিবহন। তবে রোগি পরিবহনে জরুরি সেবার আওতায় অ্যাম্বুলেন্স চলছে হর-হামেশায়। কিন্তু রোগি পরিবহনে নয়, মোটা অঙ্গের টাকার বিনিময়ে করোনায় সন্দেহ জনক ব্যক্তিরা ঢাকা বা নারায়গঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী আসছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।

জরুরি সেবায় নিয়োজিত এ পরিবহন লকডাউনের আওতামুক্ত। এটিকে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণির যাত্রী ও চালক। কেননা, রোগি পরিবহন করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেক না করে ছেড়ে দেয়। 

জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পালিয়ে আসে ৩৫ বছর বয়সী করোনা পজেটিভ রোগী। তিনি রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ঔষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোদাগাড়ি উপজেলার পালপুরের ধরমপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে এসেছিলেন। তিনি খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর কিছুদিন আগে নগরীর পশ্চিম বুধপাড়া এলাকায় মেয়ে-জামায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসেন।  তবে পুলিশ গিয়ে তাদের পাইনি। স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে আসার ঘটনা সত্য। তবে তারা কোথায় আছেন তা তারা জানেন না। 
গত ২৯ এপ্রিল মাইক্রোবাসে ফ্লাইওভারের কাজের জন্য রাজশাহীতে আসে ১৩ জন ব্যক্তি।এ ঘটনায় সেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

অজ্ঞাত এসব ব্যক্তিদের সঙ্গে ধান কাটার কাচি ছিলো বলে জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ফ্লাইওভারের দায়িত্বে থাকা ডিএনকো’র ওয়ার্কার ম্যানেজার আহাদ আলী জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। ঢাকা অফিস তাদের রাজশাহীতে পাঠিয়েছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিএনকো’র ওয়ার্কার ম্যানেজার কাজ করানোর জন্য ঢাকা অফিসের অনুমতি নিয়ে শ্রমিক এনেছিলেন।

এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ পরভেজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ফ্লাইওভারের ম্যানেজার আমাকে ফোনে বলেছে, যারা কাজের জন্য রাজশাহীতে এসেছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

আর পি/ এম আই 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top