রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


করোনা আতঙ্ক

বাংলাদেশের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ


প্রকাশিত:
১৯ মার্চ ২০২০ ১৭:৪২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৫

 

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব জেলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন সরকার। বুধবার রাত নয়টায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

মামুনুর রশিদ বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাঙামাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরে মাইকিং করেছে রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিস। মাইকিংয়ে জানানো হয়, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ হাট বাজারে বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে না যায়। করোনা নিয়ে কোনো গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হতে বলা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা আবাসিক হোটেলি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, বুধবার যারা রাঙামাটি এসেছেন তাদের কাল সকালে রুম ছেড়ে দিতে বলা হবে। আর কাল থেকে নতুন করে কাউকে রুম ভাড়া দেয়া হবে না। আমরা ইতিমধ্যে সকল হোটেল মালিককে জানিয়ে দিয়েছি।

করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে খাগড়াছড়িতেও বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। একই সঙ্গে দেশি পর্যটকদের খাগড়াছড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রতাপ চন্দ্র বলেন, করোনা ভাইরাস যেহেতু সংক্রামক তাই দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সময়ে যাতে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে না আসে। জনস্বার্থে এবং নিজেদের সঙ্গে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম কর্তৃক জেলা প্রশাসনের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল বুধবার দুপুরে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে থানচিতে ভ্রমনেচ্ছু পর্যটকদেরকে আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।এই ব্যাপারে তিনি পর্যটকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

বুধবার বিকালে চীন প্রবাসী নারীসহ ৪ জনকে কোয়ারেইন্টেনে রাখার কারণে বান্দরবান জেলা প্রশাসন দ্রুত এই নির্দেশনা জারি করে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, বারিক টিলা, শহীদ সিরাজলেক, টেকেরঘাট, শিমুলবাগানসহ সকল পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণ ও যাতায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার রাতে এসব কেন্দ্রে পর্যটকদের যাওয়ার নিষেধের আদেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী। দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের যাতায়াত নিষেধ থাকবে বলে জানান তিনি।


তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, এসব পর্যটন স্পটে পুলিশের নিয়মিত নজরদারি থাকবে।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পর্যটকদের আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাড়ী ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া হোটেল মোটেলগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলে কক্ষ বুকিং না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

আরপি/এমএএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top