পত্নীতলায় ওটি বয় করছেন সিজারিয়ান অপারেশন!

নওগাঁয় অবৈধ ভাবে চলছে অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, হাতুরে ডাক্তার ও নার্সের পরিবর্তে আয়া দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। এমনকি ওটি বয় দিয়ে চলছে অপারেশন। স্বাস্থ্য সেবা দেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে চলছে প্রতারণা।
নওগাঁর পত্নীতলায় ইসলামীয়া ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল। এই জেনারেল হাসপাতালের ওটি বয় আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি পাশ না করলেও দিদারচে অপারেশন করেন তিনি।
সম্প্রতি তার সিজারিয়ান অপারেশন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই ভিডিও তে দেখা যায় রোগীর পেট থেকে তিনি নিজেই শিশুকে বের করছেন এবং বাঁকি কাজগুলোও তিনি করছেন। এমন ভিডিও দেখে স্থানীয়রা ইতিমতো হতভাগ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব ক্লিনিকে হরহামশায় ঘটে এমন ঘটনা।
এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও নেওয়া হয় না তেমন কোন পদক্ষেপ। দু- একটিতে লোক দেখানো পদক্ষেপ নিলেও সপ্তাহ না ঘুরতেই চলে আগের মতোই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সোবহান বলেন, আমি কোন ডাক্তার না। ওটিতে বিভিন্ন ডাক্তারের সহযোগী হিসাবে থাকি। আপনারা যে ভিডিওটি দেখেছেন সেটিও ডা. তৌফিক হাসান অপারেশন করেছেন। আমি সহযোগী হিসাবে ছিলাম।
ডাক্তার তৌফিক হাসান বিষয়টি স্বিকার করে বলেন, সোবহান আমার সহযোগী হিসাবে ছিলেন।
একজন ওটি বয় সিজারেশন অপারেশনে পত্যক্ষ ভাবে সহযোগীতা করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে ডা. তৌফিক জানান, এখানে যারা অপারেশন করতে আসেন তারা অত্যন্ত কম টাকা দেন। আর এই কারণে এনেসথেসিয়া ও সহযোগী হিসাবে কোন এমবিবিএস রাখা সম্ভব হয় না। আমি নিজেই এনেসথেসিয়া ও অপারেশন করে থাকি আর সোবহান থাকেন আমার সহযোগী হিসাবে।
পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, এটি কোন ভাবেই সম্ভব না। ওটি বয় কোন ভাবেই রোগীর গায়ে হাত দিতে পারবেন না। তবে অপারেশনের প্রয়োজনীয় সরজ্ঞাম এগিয়ে দিয়ে সহযোগীতা করতে পারেন। সোবহান বা ডা. তৌফিক যা করেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনী। তারা এটি কোন ভাবেই করতে পারেন না।
নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার জানান, ওটি বয় দ্বারা অপারেশনের তথ্য রয়েছে তার কাছেও। কিন্তু তিনি শুধু শোনালেন গদ বাঁধা বক্তব্য। বিষয়টির সত্যতা পেলে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের মালিক নাজিমুদ্দিন বাবু রাজশাহী পোস্টকে বলেন, আব্দুস সোবহান আমার হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তা আসলে এডিট করা। আপনারা সাংবাদিকরা যা খুশি করেন। আমার কোন বক্তব্য নাই।
আরপি/এমএইচ
বিষয়: সিজারিয়ান অপারেশন!
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: