রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


এখনো করোনায় কাবু যেসব দেশ


প্রকাশিত:
১৫ আগস্ট ২০২২ ০০:১১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫৫

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কমলেও এখনো অস্তিত্ব রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশ এখনো করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনো করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।

গত একদিনে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে জাপানে। দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জনের। এছাড়া এই সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের। একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। এছাড়া ইতালি, রাশিয়া, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশেই করোনার হার বাড়ছে।

গত একদিনে বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১,২৭৭ জনের। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৪ জনের। অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৫৬ কোটি ৭৭ লাখ ২ হাজার ৩৮০ জনের বেশি মানুষ।

২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে হতাহতের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত একদিনে ১২ হাজার ১২৩ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ৩১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৩ জনের।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৬৯৯ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাজিলকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্স। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৯৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪ জনের।

এছাড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এমন দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল, পঞ্চম জার্মানি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। বিশ্বের সব দেশই করোনার কঠোর বিধিনিষেধগুলো তুলে নিয়েছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক আনতে মরিয়া সবাই। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top