রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


আজকের এইদিনে যে বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্ম!


প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২০ ০৯:০৭

আপডেট:
১০ জুলাই ২০২০ ০৯:১৬

বাম থেকে নিকোলা টেসলা, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ, সুনীল গাভাস্কার

১. নিকোলা টেসলা ( ১০ জুলাই ১৮৫৬ – ৭ জানুয়ারি ১৯৪৩) : তিনি ছিলেন একজন সার্বিয় আমেরিকান পদার্থবিদ। একই সাথে তিনি উদ্ভাবক, ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী, যন্ত্র প্রকৌশলী, ভবিষ্যদ্বাবী। এছাড়াও আধুনিক পরিবর্তী তড়িৎপ্রবাহ, তারবিহীন তড়িৎ প্রবাহ আবিস্কারক হিসেবেও তিনি সর্বাধিক পরিচিত। নিকোলা টেসলা ১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই সিমিলজান(বর্তমান ক্রোয়েশিয়া) নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন ভাবে পদার্থ বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি সাধন করেন। তার তড়িৎ নিয়ে গবেষণা আর এর উন্নয়নকে তড়িৎ যুদ্ধ বলা হয়।

১৮৯১ সালের ৩০ জুলাই, ৩৫ বছর বয়সে টেসলা আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি দক্ষিণ নিজের একটি গবেষণাগার তৈরি করেন। পরবর্তীতে ৪৬ হাউজটন রোড, নিউইয়র্কে তিনি তারবিহীন শক্তিশালী ট্রান্সমিশন বসান এবং তারের মাধ্যমে উভয় জায়গাতে বাতি বসান। একই বছর তিনি টেসলা কয়েল উদ্ভাবন করেন।তিনি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহকারী প্রধান হন(১৮৯২-১৮৯৪) পর্যন্ত। যা আধুনিক (আই ইইই) ইনস্টিটিউট অব রেডিও ইঞ্জিনিয়ারস নামে পরিচিত। তিনি ৭ জানুয়ারি ১৯৪৩ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে মৃত্যুবরণ করেন।


২. মার্সেল ভালেন্তিন লুই ইউজিন জর্জেস প্রাউস্ট (জুলাই ১০, ১৮৭১-নভেম্বর ১৮, ১৯২২) : তিনি একজন ফরাসি বুদ্ধিজীবী। সেই সাথে ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার ও সমালোচকও। নিজের রচিত ইন সার্চ অব লস্ট টাইম (হারানো সময়ের সন্ধানে)- এর জন্য তিনি বিখ্যাত, যা ১৪ বছর ধরে ৭ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।


৩. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (জুলাই ১০, ১৮৮৫-জুলাই ১৩, ১৯৬৯): একজন ভারতীয় উপমহাদেশের স্মরণীয় বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরাবরই সাহিত্য কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার রচিত কিছু গ্রন্থ হল – ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, দীওয়ানে হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, বিদ্যাপতি শতক, বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান।

ভাষা আন্দোলনে অবদান অনন্য। রাষ্ট্রভাষা উর্দুর বিপক্ষে যে কয়জন বাঙালী জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য অনেক সম্মানে সম্মানিত হন। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন। একই বছর ফ্রান্স সরকার তাকে সম্মানজনক পদক নাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স দেয়।

ঢাকা সংস্কৃত পরিষদ তাঁকে ‘বিদ্যাবাচস্পতি’ উপাধিতে ভূষিত করে। পাকিস্তান আমলে তাকে ‘প্রাইড অফ পারফরমেন্স পদক’ ও মরণোত্তর হিলাল ই ইমতিয়াজ খেতাব প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে মরণোত্তর ‘ডি লিট’ উপাধি দেয়। ১৯৮০ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে সমাহিত করা হয়।


৪. ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ (১০ই জুলাই, ১৯২৫-বর্তমান) : তিনি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৩ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।

তার জন্ম ১৯২৫ সালে মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এ্যালোর সেটর-এ এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে। তিনি বিশ্বময় আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রধান রূপকার হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি সকল বিষয় পুনঃপরীক্ষা করেন।

তিনিই সলামের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে শিক্ষা দেয় ইসলাম সম্পর্কে “এ নিউ ডিল ফর এশিয়া” গ্রন্থে মাহাথির বলেন, ” ইসলাম ধর্ম আমাদের জীবনের অংশ। একে পরিত্যাগ করার কোন কারণ নেই। সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা হলে ধর্ম কখনই অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বাধা হতে পারে না। ইসলামের শিক্ষা সমসাময়িক সময়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে নিতে হবে। ইসলাম শুধু মাত্র সপ্তম শতাব্দীর ধর্ম নয়। ইসলাম অবশ্যই সর্বকালের ধর্ম।”


৫. সুনীল গাভাস্কার (১০ জুলাই, ১৯৪৯ – বর্তমান): ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান। তাঁকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরা হয়। ১৯৮৩ সালের ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হয়ে তিনি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেন। তার অভিষেক টেস্ট ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ই মার্চ ১৯৭১। শেষ টেস্ট ১৩ই মার্চ, ১৯৮৭ পাকিস্তানের বিপক্ষে। অভিষেক একদিনের আন্তর্জাতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ই জুলাই, ১৯৭৪।

একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ৫ই নভেম্বর, ১৯৮৭। ক্যারিয়ার : ১২৫ টেস্টে ৫১.১১ গড়ে রান ১০১২২। ৩৪ শতক ও ৪৫ টি অর্ধশতক নিজের নামের পাশে লেখান তিনি। সর্বোচ্চ রান ২৩৬*। ১০৮ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৫.১৩ গড়ে ৩০৯২ রান করেন তিনি। ওডিআইতে তার রয়েছে মাত্র একটি শতক ও ২৬ টি অর্ধশতক। সর্বোচ্চ ১০৩*।

 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top