রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


জুলাইতে বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি


প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৪৬

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস জুলাইতেও বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। মূলত রপ্তানি আয়ের সঙ্গে আমদানি ব্যয়ের বড় পার্থক্যই এ ঘাটতির মূল কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল লেনদেন ভারসাম্যের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা যায়, জুলাই মাসে পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৫৮৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে যা ২৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে পণ্য রপ্তানি করে আয় এসেছে ৩৮৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। আলোচ্য মাসে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১৯৮ কোটি ডলারের। অন্যদিকে সেবা বাণিজ্যে ২৮ কোটি ডলারের ঘাটতি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইতিবাচক দিক হলো, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ শতাংশ। রেমিট্যান্স বাড়লেও চলতি হিসাবে ঘাটতি আছে, যার পরিমাণ ৩২ কোটি ডলার। সংশোধিত হিসাবে গত বছরের জুলাই মাসে ২৯ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

বৈদেশিক লেনদেনে বড় চাপের মধ্যে থেকে গত অর্থবছর শেষ হয়। চলতি হিসাবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন এবং সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি ছিল। আমদানি নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে চলতি অর্থবছরে এ ঘাটতি কমবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে রেমিট্যান্সে গত দুই মাসে প্রবৃদ্ধি রয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সে পতনের কারণে বৈদেশিক লেনদেন বেশি চাপে পড়ে।

জুলাইতে চলতি হিসাবের মতো আর্থিক হিসাবেও ঘাটতি রয়েছে। এ সময়ে বিদেশি ঋণ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। আর্থিক হিসাবে ঘাটতির কারণ ট্রেড ক্রেডিট বা বাণিজ্য ঋণে ঋণাত্মক পরিস্থিতি। এর মানে জুলাই মাসে এ ধরনের ঋণ যে পরিমাণ নেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে পরিশোধ করা হয়েছে অনেক বেশি। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেনে জুলাই মাসে ১০৮ কোটি ডলারের ঘাটতি হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে এ ক্ষেত্রে ৩২ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top