তরমুজের জিলাপিতে মেতেছে ভোজনবিলাসীরা

আড়াই প্যাঁচের মিষ্টান্ন হিসেবে পরিচিত— জিলাপি সাধারণত চিনি আর গুড়ের হয়ে থাকে। এবার এতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন খুলনার খালিশপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সোবহান রিপন। তিনি এবার তৈরি করেছেন রসে ভরা মৌসুমী ফল তরমুজের জিলাপি।
রসে টসটসে এই জিলাপি কিনতে এবং দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন তার দোকানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বেচা-বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে। ইফতারিতে যারা জিলাপি পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি নতুন আকর্ষণ।
এই মন মাতানো জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে খুলনার খালিশপুর এলাকার (বিআইডিসি সড়কে) চিত্রালী বাজারে। নাম ‘তরমুজের জিলাপি’। এ এলাকার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ‘ইসলামীয়া মিষ্টি ঘর’-এর তৈরি এই মিষ্টান্ন ভোজনবিলাসীদের নজর কেড়েছে। শুধু এ এলাকায় নয়, এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়ও। বিভিন্ন এলাকার মানুষ কৌতুহলী হয়ে উঠছেন এই জিলাপির স্বাদ নিতে। এই জিলাপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ ৫০ টাকা দরে।
জানতে চাইলে জিলাপি বিক্রেতা মো. আব্দুস সোবহান রিপন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়। তাই তরমুজ দিয়ে কিছু করার আগ্রহ থেকেই আমি তৈরি করেছি এই জিলাপি।’
রিপন বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আমাদের এ মিষ্টির ব্যবসা। অনেকেই আসছেন। কিনছেন। আবার অনেকে দেখছেন। অন্য জিলাপির মতো করে অন্য সব উপকরণের সঙ্গে তরমুজ ব্লেন্ড করে দিয়ে তৈরি করছি এই জিলাপি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩ দিন আগে প্রথম এই জিলাপি, দোকানে বিক্রির জন্য তৈরি করি। বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড় এলাকা থেকে জিলাপির স্বাদ নিতে এসেছেন মো. আমিনুল ইসলাম নামের একজন। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল কিনেছিলাম আজও কিনছি। সাধারণত জিলাপি মিষ্টি হয়, এই জিলাপিও মিষ্টি। কিন্তু স্বাদ অন্যরকম। ভালই লাগে। তরমুজ তরমুজ ভাব আছে।
নগরীর রূপসা এলাকার মো. আবু সালাম নামের আরও এক ক্রেতা বলেন, ‘এখনও খাইনি। কিনছি। খুবই এক্সাইটেড। আশা করছি ভালই হবে। সবাই কিনছে। ভিড়ও বেশ।’
আরপি/এসআর-০৬
বিষয়: তরমুজের জিলাপি খুলনা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: