কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের ৫ পিলারে ফাটল

ঝিনাইদহে সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবনের ৫টি পিলারে ফাটল ধরেছে। বেরিয়ে পড়েছে রড। ভবনটির ৫ম তলার ছাদে মরিচা ধরা রড ব্যবহার করা হচ্ছে। পলেস্তারার কাজেও ব্যবহার হচ্ছে নিচুমানের বালি। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. রফিউদ্দিন।
সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের তত্ত্বাবধানে ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান। প্রায় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভবনের ৪র্থ তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৫ম তলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য রড বাঁধা হয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. রফিউদ্দিন অভিযোগ, তিন দিন আগে ৪র্থ তলার ৫টি পিলারে ফাটল ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে পিলারের পলেস্তারা খসে পড়ে এবং রড বের হয়ে যায়। এমনকি নতুন ছাদেও ত্রুটি ধরা পড়েছে। পানি পড়ছে ছাদ দিয়ে। পট্টি দিয়ে ওই ছিদ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কলেজের অনার্স তৃতীয়বর্ষের ছাত্র পাভেল হোসেন ও রাসেল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ভবনটি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমানের সাইড ম্যানেজার সাদ্দাম হোসেন পিলারের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করেন, অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে মাইক্রো কংক্রিট পদ্ধতির মাধ্যমে ফাটল ধরা পিলারগুলো মেরামত করা হবে। নিুমানের সামগ্রী ভবনটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তুহিন হোসেন জানান, যে ত্রুটি ধরা পড়েছে তা অতি সামান্য। তিনি অভিযোগ করেন, কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টিকে বড় আকারে প্রচার করছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক ইকবাল হিমেল বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করেছি। পিলারের ত্রুটিগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশাল ভবন নির্মাণ কাজে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েই থাকে। সেগুলো সঠিকভাবে মেরামত করলে ভবনের কোনো সমস্যা থাকে না।
আরপি/এসআর-০৪
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: