রাজশাহী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কাজ না করেই বিল ভাগ বাটোয়ারা করে নিলেন দুই মেম্বার


প্রকাশিত:
২০ মে ২০২১ ২১:২৫

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ০১:২৪

ছবি: সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরের দুটি প্রকল্পে কোনো প্রকার কাজ না করেই বিল উত্তোলন করে নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ইউএনও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কোনো কাজ না করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদক নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

বুধবার (১৯ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আরিফ বাজার মাদরাসা থেকে আয়নাল হক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার মাটি ফেলার কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোনো কাজ করা হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় এক কোদালও মাটি কেটে ফেলা হয়নি। অথচ এ কাজ দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কবির মোল্যা। অন্য রাস্তার ছবি তুলে তা বিল আকারে জমা দিয়ে ঈদের আগেই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নের লক্ষীদাসের হাট থেকে বিষ্ণুপুর মাদরাসা পর্যন্ত ফ্লাট সলিং রাস্তা ও মেরামত এবং কালভার্ট পুনর্র্নিমাণের কোনো কাজ না করেই ১ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

কোনো কাজই করা হয়নি অথচ তার বিল তুলে নেয়া হয়েছে। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন বিশ্বাস সেকেন সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত ইউপি সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঈদের আগে ইউএনও অফিসের লোক সরেজমিনে এসে কাজ দেখে তারপর আমাদের বিল দিয়েছে। অথচ এখন বলা হচ্ছে আমরা কোনো কাজই করিনি।’

এ বিষয়ে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, ‘দুটি কাজ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা বলেন, ‘দুটি প্রকল্পে কোনো কাজ না করে বিল উত্তোলনের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যদি কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।’

আরপি / এমবি-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top