রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহী কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবস পালিত


প্রকাশিত:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:১৯

আপডেট:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:২৬

২১ ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী কলেজের প্রভাত ফেরি

 

দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে দেশসেরা রাজশাহী কলেজ। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, প্রভাত ফেরি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, পুরস্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দিনের শুরুতেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একুশের প্রভাত ফেরি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক।

প্রভাত ফেরিটি নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, কুমারপাড়া ও আলুপট্টি মোড় প্রদক্ষিণ করে কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।

এরপর সেখানে রাজশাহী কলেজ প্রশাসন, কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ।

এদিকে, কলেজ অধ্যক্ষকে নিয়ে কলেজের মুসলিম হোস্টেলে অবস্থিত দেশের প্রথম শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কলেজের সাংবাদিক সংগঠন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি (আরসিআরইউ)।

দেশের প্রথম শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি।

সকাল ৯টায় কলেজের স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠণ ‘বাঁধন’ কলেজ গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে। তারপরেই প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃত্তি।

বাদ যোহর কলেজের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বিকেলে প্রশাসন ভবন প্রাঙ্গনে সেমিনার, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী, কবিতা আবৃত্তি, একুশের গান ও নাটক ‘রক্তে ভেজা রাজপথ’ মঞ্চায়িত হয়। অনুষ্ঠানমালায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কলেজ শহীদ মিনার ও মুসলিম হোস্টেলে অবস্থিত দেশের প্রথম শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে কলেজের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সূচনা করেন অধ্যক্ষ।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে দুই দিনব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ভবনের সামনে চলমান রয়েছে চার দিনব্যাপী পুষ্পমেলা।

আগের দিন বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে কলেজ শহীদ মিনারের পাদদেশে কবিতা পাঠ, একুশের গান ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এছাড়াও মঞ্চায়িত হয় মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত ‘কবর’ নাটক। 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top