রাজশাহী সোমবার, ১৪ই অক্টোবর ২০২৪, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১


রাজশাহী কলেজে পদ্মফুলের রাজত্ব


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৩

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৬

রাজশাহী পোস্ট

রাজশাহী কলেজের পদ্মপুকুরে জলের উপর বিছানো থালার মতো গোলাকার সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লম্বা ডগার উপর লাল সাদা পদ্ম। অসংখ্য পাপড়ির চমৎকার বিন্যাসে সজ্জিত একেকটি পদ্ম যেমন সুগন্ধি ছড়ায়, তেমনি যেকোনো মানুষের হৃদয় কাড়ে সহজেই।
 
অনিন্দ্য সৌন্দর্যের কারণে পদ্মকে জলজ ফুলের রাণী বলা হয়। রাজশাহী কলেজের পদ্মপুকুর রাশি রাশি প্রস্ফুটিত পদ্মফুল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ও দর্শনার্থীদের মধ্যে আভা ছাড়াচ্ছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের প্রশাসনিক ভবনের পেছনে পদ্মপুকুরের পুরোটাজুড়ে আছে সাদা-গোলাপের মিশেলে দৃষ্টিনন্দন পদ্ম। এর কোনোটি ফুটে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে, আবার কোনোটির কলি ফোটার অপেক্ষায়।

বাতাসের তালে তালে দোল খাচ্ছে গোলাপি আর সাদা রঙের অসংখ্য পদ্মফুল। প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে পদ্মফুলের পাতায় পাতায়।
কেউ কেউ ছবি তুলে রাখছে পদ্মফুলের সাথে। পদ্ম পুকুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে ছুটে আসছে প্রকৃতি প্রেমীরা।

রোজা ও ঈদের ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও স্থানীয় শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী দর্শনার্থী মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত। পুকুর ঘাটে বসে পদ্মফুলের সৌন্দর্যে প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজছেন ক্লান্ত শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

নওগাঁ থেকে ঘুরতে আসা আয়েশা খাতুন বলেন - আমি রাজশাহী ঘুরতে আসলেই সবার আগে রাজশাহী কলেজে আসি এখানে আসলে মনে হয় কোনো রাজার রাজ্যে এসেছি। রাজশাহী কলেজে ঢুকে পদ্মফুল দেখে আমার মনটা জুড়িয়ে গেছে। আমি পদ্মফুল খুব কম দেখতে পাই, তবে এখানে এসে পদ্মফুল দেখতে পাবো কখনো ভাবেনি।পানির উপর ভেসে থাকা পদ্মফুল গুলো যেনো আমাদের জীবনের শিক্ষা দেয়। আমি পদ্ম পুকুরের পাশে অনেকক্ষণ বসে পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছি।

আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: সাকিল হোসেন বলেন- প্রস্ফুটিত ফুল মানুষকে উদারতার শিক্ষা দেয় এ পদ্ম ফুলের দিকে তাকালে যেনো মনটা জুড়িয়ে যায়। পদ্মফুল যেনো তার পাতার উপরে ফুটে সূর্যের মতো আলো ছড়াচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ আমার বন্ধুদের সাথে পদ্ম পুকুরের কোল ঘেঁষে বসে পদ্মফুল নিয়ে আলোচনা করছিলাম। যেনো পদ্মফুলের মহিমা বলে শেষ করা যায় না।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেন - পদ্মফুল টা আমাদের বহু পরিশ্রমের ফুল। এখন বর্ষা আসলে পুকুরে পানিতে ভরে যাবে তখন আরো সুন্দর লাগবে। আমাদের পদ্মফুলের জাতটা একটু আলাদা যে কারণে খরার মধ্যে ফুল চলে এসেছে।  শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ বান্ধব ক্যাম্পাস পরিষ্কার সুন্দর এবং যা আছে বিদ্যমান রেখে আরো সুন্দর করতে হবে।

আরও বলেন - বাইরের শিক্ষার্থীরা ফুল ছেঁড়ার সাহস পায় না। আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী ফুল তুলে নেয়। এটা যেমন পদ্মফুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে, তেমন আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে যায় না। আমাদের সবাইকে কলেজের সুন্দর দিকগুলো ধরে রাখতে হবে। পদ্মফুল যেনো কেউ ছিঁড়তে না পারে সেজন্য আরো খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top