রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


উত্তাল রাবি, সড়কের পর রেলপথও অবরোধ


প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৩ ০৩:২৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০২:১৬

ছবি: অবরোধ

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছেন।

রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রেললাইনের ওপর অবস্থান করছেন। এসময় তারা রেললাইনের ওপর ব্যানার ও চারুকলার অনুষদের গেটের পাশে থাকা একটি পাখির অবয়ব কারুশিল্প পুড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তারা ' জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো; প্রশাসনের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও' রাবি শিক্ষার্থীর একশন, ডাইরেক্ট একশন স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এতে রাজশাহী থেকে পঞ্চগড় অভিমূখী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে বিলম্ব হতে পারে৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে আমরা খবর পাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চারুকলা রেলগেটে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে আমরা টরেন চলাচল বন্ধ রেখেছি। এতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বর্তমানে হরিয়ান স্টেশনে আটকে আছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টায় রাজশাহী থেকে বাংলা বান্ধা ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি সঠিক সময়ে ছাড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বগুড়া থেকে মোহাম্মদ পরিবহনের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ইসলাম আকাশ। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়িচালক শরিফুল ও তাঁর সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিনোদপুর বাজারে বাস থেকে নামার সময় তাঁদের মধ্যে আবারও কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় বিনোদপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তখন আকাশসহ বিনোদপুর বাজারে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া রাবির কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে গাড়ির চালক, তাঁর সহযোগী ও বাজারের ব্যবসায়ীর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

খবর পেয়ে সেখানে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন এবং ধাওয়া দিয়ে তাঁকেসহ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। এতেই ঘটনা বড় হয়ে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল থেকে বের হয়ে বিনোদপুর গেটের পাশে অবস্থান নেন।

আর ব্যবসায়ীরা অবস্থান নেন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারে। তখন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

 

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top