বাঘায় নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে কৃষকদের সাথে মতবিনিময়

রাজশাহীর বাঘায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে আম চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারক কৃষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ্ সুলতান। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) উম্মে সালমা, ঢাকা,আসাদ গেট হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র হর্টিকালচারিষ্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সভায় বক্তরা বলেন, সারাদেশ জুড়ে বাঘার আমারে সু-খ্যাতি রয়েছে। বিগত কয়েক বছর থেকে এ অঞ্চলের আম রপ্তানী করা হচ্ছে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আর্ন্তজাতিক বাজারে। হরটেক্স ফাউন্ডেশান থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন কম্পানী এখানকার আম বিদেশে রপ্তানী করছেন। এতে স্থানীয় সাংসদ এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলমের ব্যাপক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে। কম খরচে কি ভাবে ভাল আম বিদেশে রপ্তানী করে লাভবান হওয়া যায় সে সম্পর্কে গত তিন বছর পুর্বে বালাইনাশক কম্পানী র্যাভেল গ্রুপ “ফুট ব্যাগিং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিয়ে সেমিনার করেন। সেখানে এ অঞ্চলের প্রায় শতাধিক লিড ফার্মারসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ করা হয়। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে আমের গুনগতমান বেড়েছে এবং গত কয়েক বছর থেকে তাঁরা বিদেশে আম রপ্তানী করে লাভবান হচ্ছেন।
কৃষকদের মধ্যে লিড ফার্মার আশরাফুদৌল্লা ও মহাসিন আলী বলেন, সরকার বিভিন্ন উপজেলায় ধানসহ সবজি চাষীদের সহায়তা দিয়ে থাকেন। এদিক থেকে আমরা আম চাষীরা যদি বাগান পরিচর্চার জন্য অর্থ সহায়তা (ঋণ) পেতাম তাহলে অনেকেই উপকৃত হতেন। তাঁরা এ বিষয়ে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, আম বাগান রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে। খাদ্য শস্যের পাশা-পাশি অর্থকরী ফসল হিসেবে এখানে আমই প্রধান। প্রতিবছর উপজেলার কৃষকরা শুধু আম বিক্রি করে অর্থ উর্পাজন করেন ৭০০ থেকে ৮০০ শ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আম চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারক প্রতিনিধিসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। সভায় অংশ নেন প্রায় দুই শতাধিক কৃষক উন্নত পদ্ধতিতে আম রপ্তানীমূলক এই সভাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন এবং উপস্থিত কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
আরপি/টিএস-১১
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: