রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের পেঁয়াজে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের


প্রকাশিত:
১৩ জানুয়ারী ২০২১ ০৫:২১

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪৯

ফাইল ছবি

সাড়ে ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না। ফলে রাজশাহীর বাজারে আগ্রহ নেই ভারতীয় পেঁয়াজের। তুলনামূলক দেশি পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা কিনছেন দেশি পেঁয়াজ।

অপরদিকে ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের আশংকায় পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনছেন না ভারতীয় পেঁয়াজ। ফলে পাইকারদের আগ্রহ না থাকায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কমিয়েছেন বলে জানা গেছে। যে দু-একজন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।
রাজশাহীর মাষ্টারপাড়া কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী নবাব বলেন, “মানুষ ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না। দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের নাম মুখে তুলছে না। প্রায় একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ না কিনে, বেশি করে দেশি পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। যখন আড়াই’শ-তিন’শ টাকা কেজি ছিল তখন ভারতীয় পেঁয়াজ কম দামে কিনেছে। এখন ক্রেতা না থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ দোকানেই রাখছি না।”

আরেক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, “রাজশাহীর পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, তাই ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। নিজ এলাকার সবজি, পেঁয়াজ এগুলো খেয়ে শেষ করতে পারছে না মানুষ আর ভারতীয় পেঁয়াজ!”

ভারতীয় পেঁয়াজের চাইতে দেশি পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আগ্রহ নেই ভারতীয় পেঁয়াজে, এমনটিই বলছিলেন ব্যবসায়ী রাজ্জাক হোসেন। তিনি বলেন, “যদি দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা থাকত তাহলে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি কিনত। কিন্তু দেশি পেঁয়াজ ৮০০ সাড়ে ৮০০ টাকা মণ। খুচরা ২৫ টাকা ৩০ টাকা কেজি, মানুষ কিসের দুঃখে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবে?”
আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি ২০২১) রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের মোটেও আগ্রহ নেই ভারতীয় পেঁয়াজে। গুণে-মানে ভালো হওয়ায় কিনছেন মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে রকমভেদে ২৫-৩০ টাকা। আমদানিকৃত সকল পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা কেজি। দু-এক জায়গায় ইরানি, ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা মিললেও ব্যবসায়ীরা দুঃখ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন-সারাদিনে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫ কেজিও বিক্রি হচ্ছে না। সবাই কিনছেন দেশি পেঁয়াজ।


অপরদিকে ক্রেতারা সবজির দামে খুশি হলেও চাল ও ভোজ্য তেলের বাড়তি দামে নুইয়ে পড়ছেন। খুব শীঘ্রই নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব দ্রব্যের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।


রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক বলেন, বর্তমানে কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলছেন। ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩-৪ মাস এ পেঁয়াজ সংগ্রহে রাখা যায় এবং বাজারে সরবরাহ চলবেই। আবার কোথাও কোথাও চারা পেঁয়াজ লাগানো শুরু হয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ হতে হতেই আবার চারা পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে ভয়ের কারণ নাই।

 

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top