রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মায় ২২দিন মাছ শিকার নিষিদ্ধ


প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর ২০১৯ ২২:১৪

আপডেট:
৮ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৪

মাছ শিকার অবস্থায় জেলেরা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার থেকে ২২ দিন পদ্মায় ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা রাজশাহী এলাকার পদ্মা নদীর জন্য বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

তবে রাজশাহীর জেলেদের দাবি, নদীতে এবার তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও নিষেধাজ্ঞার ফলে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হবে বলে তাদের আশঙ্কা ।

নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার জেলে সাজু হোসেন বলেন, ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশ পাওয়া যায়নি। ফলে  নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে গেলে খরচের টাকাই উঠছে না।

তবে মৎস কর্মকর্তারা বলছেন, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্যই এসময় নদীতে জাল ফেলা নিষেধ। তবে রাজশাহীর জেলেদের মাঝে ৩৬ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে।

রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলোক কুমার সাহা বলেন, আগামি ৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২২ দিন পদ্মায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিষয়টি  জেলেদেরকেও অবগত করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার পরে কেউ নদীতে মাছ শিকারে নামলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান,সরাকারিভাবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও চারটি উপজেলার ১৮’শ জেলেকে বিনামূল্যে প্রত্যেককে ২০ কেজি করে সকলের মাঝে মোট ৩৬ মেট্রিকটন চাল বিরতণ করা হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে ওইসব জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ সম্পন্ন হবে।

অন্যদিকে,পদ্মার নাব্যতা সঙ্কটকে দায়ি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিসারিজ বিভাগের সহাযোগী অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেন বলেন, নদী খননের বিকল্প নেই। পুরো পদ্মা নদীই ডেজিং করা দরকার। বর্তমানে ভরা নদী। তবে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে প্রচুর পানি মনে হচ্ছে। নদী ড্রেজিং করা থাকলে এতো পানি মনে হত না। নদীতে মাছ আছে তবুও জেলেরা ঠিকমত জাল ফেলছে না। আর ফেললেও পানির কারণে সুবিধা করতে পারছে না।

তিনি বলেন, ২০১১-১২ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে পদ্মায় ইলিশ বেশি পাওয়া গেছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ২২ দিন নদীতে জাল ফেলা নিষেধ- একটি সফল উদ্যোগ। এতে ইলিশের সঙ্গে সঙ্গে অন্য মাছ ডিম ছাড়া ও বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। আগামি নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের দিকে জেলেরা তুলনামূলক ভাল মাছ পাবে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top