রাজশাহী শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২

কাঁচাবাজারে ফিরছে স্বস্তি; ২০ টাকা দরেও মিলছে সবজি


প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫১

আপডেট:
২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫২

সবজির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ী

 

রাজশাহীর বাজারে শীতকালিন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। কমছে দাম। এতে বাজার করতে এসে কিছুটা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। গত কয়েক সপ্তাহ আগে বাজারগুলোতে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু এখন ২০ টাকা কেজিতেও মিলছে সবজি। 

ক্রেতারা বলছেন, করোনাকালীন অনেক মানুষের আয়-উপার্জন কমেছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতাসহ নানা অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল-ডাল-সবজির দাম বেড়েছিলো। এতে নিম্নবিত্ত মানুষ চরম বিপাকে পড়েছিলো। তবে দীর্ঘ সময় পর সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্থি পাচ্ছেন তারা। তবে এখনো কমেনি আলুর দাম। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।


খুচরা আলু বিক্রিতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে তাদের বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। যার কারণে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া নতুন আলু বাজারে না আসা পর্যন্ত আলুর দাম কমবে না- বলছেন ব্যবসায়ীরা।


শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) নগরীর সাহেববাজার ও কোর্টবাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, মুলা ২০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কলা প্রতিহালি ২০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে লাল শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা আঁটি, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, মুলা শাক ২০ টাকা কেজি, সবুজ শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা ও পালং শাক বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি, রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও আদা ৮০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের মধ্যে ইলিশ আকার ও মানভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে, পাবদা সাড়ে ৫০০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিলভারকার্প ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মৃগেল ১৫০ টাকা, দেশি কৈ ৪০০ টাকা, বিদেশি কৈ ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের মধ্যে গরু ৫৪০ টাকা কেজি, খাসি ৭৫০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, সোনালি মুরগি ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাতিহাঁস ২৬০ টাকা ও রাজহাঁস ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, ব্রইলার ডিম সাদা ২৮ টাকা হালি ও লাল ৩০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে।

চালের মধ্যে আঠাশ ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, সুমন শরণা ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা ও কালোজিরা চাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আরপি/ এমআই 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top