রাজশাহী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চারঘাটে বিদ্যালয়ের মাঠে বালুর স্তুপ : মালিক কে ?


প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৫

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১৩:৩১

বিদ্যালয়ের মাঠে বালুর স্তুপ।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক মাস ধরে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও স্থানীয়রা। তবে স্তুপ করে রাখা বালুর মালিক কে, তা কেউ বলতে পারেনি।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নেক পারভিন বলেন, ‘ বিদ্যালয়ের সভাপতি মর্জিনা বেগমের স্বামী আবুল কালাম আজাদ ফোন করে বলেছিলেন একজন ঠিকাদার সামান্য কিছু বালু বিদ্যালয়ের মাঠে রাখবে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেই বালু সরিয়ে নেবেন তারা। তখন করোনার কারনে বিদ্যালয়ও বন্ধ ছিল। কয়েকদিনের তো ব্যাপার ভেবে রাখতে দিই। কিন্তু মাস হয়ে যাওয়ার পরও এসব সরিয়ে নিচ্ছেন না। কে বালু রেখেছে এখন সেটাও কেউ বলতে পারছে না। রাতে বড় বড় ট্রাকে বালু আসছে আর দিনের বেলায় ট্রলিতে করে সেই বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বড় ট্রাকের চাকায় পুরো মাঠ নষ্ট গেছে।’

প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৪৫ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৩ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ে পাসের হার শতভাগ। বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমাণ প্রায় এক একর। এর অনেকখানি জায়গাজুড়ে বালু রাখায় স্থানীয় কিশোরদের খেলাধুলা করতে সমস্যা হচ্ছে। বাতাসে বালু উড়ে বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম গুলো নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা বলেন, প্রায় এক মাস আগে থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে বালুর স্তুপ হতে থাকে। এখন প্রতিনিয়তই বালু আনা নেওয়া চলছে। বালুর ব্যবসা চলছে মাঠে। তবে কার বালু তা কেউ বলতে পারেনি। বালু রাখায় স্থানীয় শিশু কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বালুর মালিককে শনাক্ত করে তা সরিয়ে ফেলার দাবি জানান তারা।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মর্জিনা বেগম ও তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাঠে বালুর ব্যবসা হচ্ছে না। নাটোরের এক ঠিকাদার পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া উপজেলায় রাস্তার কাজ করছে। ঠিকাদারের নাম তারা জানেন না। ঠিকাদার তাদের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে সাত দিনের জন্য বালু রেখেছিল। কিন্তু এখন আর ঐ ঠিকাদার ফোন ধরছেনা। তবে প্রতিনিয়ত বালু আনা নেওয়া হচ্ছে বিদ্যালয়ের মাঠে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমিন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে বালু স্তুপ করে রাখার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খুব দ্রুত বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরপি/ এএন-০৩


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top