রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

বাঘায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাড়ছে করোনা ঝুঁকি


প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:২৪

আপডেট:
১৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:২৫

বাঘায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। ছবিটি আড়ানী বাজার থেকে তোলা।

রাজশাহীর বাঘায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাড়ছে ঝুঁকি। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুনভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। তারপরেও কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

উপজেলার রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাজার, পাড়া মহল্লাসহ সবখানে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার না করে চলাফেলা করছে মানুষ। ফলে স্বাস্থ্য সচেতনায় অনেকেই এই পরিস্থিতিতে পড়েছে বিপাকে। চাইলেও মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে উপজেলার বাঘা বাজার, আড়ানী বাজার, দিঘা বাজার, মনিগ্রাম বাজার, চন্ডিপুর বাজার, গড়গড়ি বাজার, পাকুড়িয়া বাজার, খানপুর, চাঁনপুর, বাউসা, তেঁথুলিয়া, হরিনা, আড়পাড়া, মাঝপাড়া, আলাইপুর, পানি কামড়া, বিনোদপুর, হাবাসপুর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়,  শত শত মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করছে।

তবে ১পর্যায়ে কিছু দোকানের সামনে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার পাত্র ও সাবান রাখা হলেও এখন কিছু জায়গায় পাত্র থাকলে সাবান নেই।আবার কিছু জায়গায় কোন কিছুই নেই। থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। এর মধ্যে অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এছাড়া চায়ের স্টলে আড্ডা, মুুদি দোকান সর্বত্রই মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। এদিকে পাড়া মহল্লাতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানেও তেমন ফল হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাঘা বাজারের দরগা মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক আবদুল লতিফ মিঞা জানান, বিগত সময়ে আমাদের দেশের মানুষকে বাথরুমে সাবান ব্যবহার করতে শিখাতে সময় লেগেছে প্রায় এক যুগ। এই করোনা পরিস্থিতির মেয়াদ হলো প্রায় ৮ মাস। এরমধ্যে কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি  মানলেও অধিকাংশরাই মানছে না। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, ৬ এপ্রিল থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৭ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন ১৫১ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।


বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সচেতমুলক প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত তদারকি করছে। এ জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে। করোনার মতো ভয়ঙ্কর ব্যধিকে মোকাবিলা করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

আরপি/ এএন-০২


বিষয়: বাঘা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top