রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে পুকুর খননে দেড় হাজার বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা, উদ্বিগ্ন চাষিরা


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৩৮

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৮:২৬

অপরিকল্পিত পুকুর খনন, অতিবর্ষণ ও কালভার্টের মুখ বন্ধের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীর চারঘাটে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বছর উপজেলার এসব জমিতে আবাদ করতে পারছেন না কৃষক। খোদ কৃষি বিভাগ স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে তিন ফসলি এসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি আবাদ করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, তিন-চার বছর ধরে উপজেলা জুড়ে বিলের মধ্যে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসল আবাদ করতে পারছেন না তারা।

উপজেলার চারঘাট সদর ইউনিয়নের চৌধুরীর বিলে এ বছর প্রায় একশ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। চৌধুরীর বিলে পুকুরের খননের মুল হোতা মাটি খেকো ফকির মন্ডলের ছেলে সালাম হোসেন। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করায় চৌধুরীর বিল জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবারে চাষীরা রোপা আউশ ধান রোপন করতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে এ জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য স্থানীয় জমির মালিক ও চাষীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জুড়ে ১ হাজার ২৭১ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদী হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও ইউসুফপুর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার পরিমান বেশি। অপরিকল্পিত পুকুর খনন এসব জলাবদ্ধতার কারন। অপরিকল্পিত পুকুর খনন করার সময় মাটি দিয়ে কয়েকটি বাঁধ দেওয়া হয়ছে।

এমনকি পানি নিষ্কাশনের পথ ব্রীজের তলা মাটি দিয়ে বন্ধ করেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা জুড়ে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ বিঘা জমিতে লাগানো রোপা আউশ ধানসহ বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া জমিতে চাষকৃত পাট গাছ ও কলার গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের আশকান আলীসহ কয়েকজন চাষীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এই জমিতে ধান চাষ করে তাদের সারা বছরের ভাতের ব্যবস্থা হতো কিন্তু এবারে জলাবদ্ধতার কারণে ধান রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সারা বছর কিভাবে খাবারের ব্যবস্থা হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, উপজেলা জুড়ে প্রায় ১ হাজার ২৭১ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারনে অনাবাদী হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননই এসব জলাবদ্ধতার অন্যতম কারন। এ ব্যাপারে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন না করতে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top