রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচাবাজারে

দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে


প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:১৯

আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২০

 

কাঁচাবাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম সেইসাথে ধনেপাতার চলছে প্রতিযোগীতা। দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ৬৫-৭০ টাকা। প্রতিকেজি ধনেপাতা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষ চাহিদা অনুযায়ী বাজারে কেনাকাটা করতে পারছে না। প্রয়োজনকে কমিয়ে এনে স্বল্পতেই সারতে চাচ্ছেন ক্রেতারা । এমনটি বলছিলেন সবজি বিক্রেতা আবু বকর সিদ্দিক, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬৫-৬৮ টাকা কেজি। মানুষ এককেজি কিনতে এসে দাম শুনে কিনছে হাফ কেজি। দাম বেশি বিক্রি কম হওয়ায় আমাদের লাভ তেমন হচ্ছে না।

রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম অভিযোগ করে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশপাতাল। বাজারে বেশিরভাগ দোকানে নেই বাজারদরের তালিকা। আমরা প্রতারনার স্বীকার হচ্ছি। বেশি দাম নিচ্ছে কোন কোন দোকানদাররা।

রাজশাহী কাঁচাবাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সের ম্যানেজার রুবেল হোসেন বলেন, সরকার পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই দাম কমতে পারে। স্টকে রাখার কারণে অনেক পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। এখন ভারতের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচেছ, আমদানী কম থাকার কারনেও দাম বেড়ে গেছে। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি যা দেখছি এ দাম বেশিদিন থাকবে না। শীঘ্রই দাম কমে যাবে।

সেইসাথে বাজারে নতুন সবজির আনাগোনা দেখা দিয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো ১০০ টাকা এবং সজিনা ডাটা ১৬০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, পাতাকপি ৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, গাঁজর ১০০ টাকা দরে হচ্ছে।

বাজারে কমেছে কাঁচা সবজির দাম। প্রতিকেজি আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপেঁ ১৫-২০টাকা, শশা ৪০-৪৫ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৮-১০ টাকা, পুঁইশাক ১০- ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বরবটি ৪০ টাকা, রকমভেদে কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৪০, পটল ৩০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও দাম কমেছে আদা- রসুনের। প্রতিকেজি আদা-রসুন ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজরে তেমন হেরফের দেখা যায়নি, তবে ইলিশের দাম কিছুটা কমে রকমভেদে ৬৫০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম মাছের মধ্যে কাতল ২৫০-২৮০ টাকা, রুই ১৬০-২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা এবং গলদা ১০০০ টাকা, শোল ৫০০-৬০০ টাকা, টেংরা ৪৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অপরদিকে মাংসের বাজারে প্রতিকেজি বেড়েছে ৫-৭ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা, সোনালী ১৮০-২০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২৫-১৩০ টাকা, লেয়ায় মুরগি ১৮০ টাকা, পাতিহাঁস ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। গরুর মাংস ৫০০- থেকে টাকা এবং খাসির মাংস প্রতিকেজি ৬৮০- ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়।

অপরদিকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। পারিজা ৩৫ টাকা, আঠাশ রকমভেদে ৩৬-৪২ টাকা, চিনিগুড়া আতপ রকমভেদে ৬০-১০০ টাকা, দেশি বাংলামতি চাউল ৬০ টাকা, বাঁশমতি ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৪৫ টাকা, নাজিশাইল ৬০ টাকা, মিনিকেট ৪২-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মেসার্স আমজাদ হোসেন স্টোর থেকে জানা যায়, ভোজ্য তেলের দাম রয়েছে আগের মতোই। সয়াবিন তেল ৮০ টাকা। সেইসাথে প্রতিকেজি খোলা আটা ৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, বিদেশি মসুর ৬০ টাকা, মটর ডাল ৬৫ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৪০ টাকা, খেসারি ডাল ৬০ টাকা, সোনা মুগ ডাল ১২০ টাকা, বুঁটের ডাল ৭০ টাকা, মটর ৩৬ টাকা, প্রতি একশগ্রাম জিরা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

 

 

আরপি/এমএইচ

 


বিষয়: পেঁয়াজ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top