রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়


প্রকাশিত:
২১ জুলাই ২০২০ ০২:৩৩

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১২:৩৫

ফসলি জমি। ছবি: ফসলি জমির

রাজশাহীর চারঘাটে ফসলি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি) যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে উর্বরতা হারিয়ে অনাবাদি হয়ে পড়ছে আবাদি জমি। কমতে শুরু করেছে ফসলের উৎপাদন।

স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ইটভাটার মালিক ও এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিযে দেদারছে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব টপ সয়েল কেটে নিচ্ছে।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শলুয়া,সরদহ,নিমপাড়া ও চারঘাট ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ট্রাক দিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। আর জমির মালিকরা না বুঝেই তা ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে জমির উর্বরা শক্তি কমতে শুরু করলেও এ কথাগুলো স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের জানানো হচ্ছে না।

কিন্তু কৃষিবিদরা বলেছেন, টপ সয়েল বিক্রির ফলে জমির উর্বরা শক্তি ফিরে পেতে প্রায় ১০-১২ বছর সময় লেগে যাবে এবং কৃষি জমি অনাবাদী হয়ে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

সরদহ ইউনিয়ন এবং চারঘাট ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম নীতি না মেনে পুকুর খননের কারণে উপজেলায় আবাদি জমির পরিমান কমে গেছে। এর মধ্যে অতি লোভী কিছু কৃষক শুরু করেছে জমির উর্বরা মাটি বিক্রি। দালালরা প্রতিনিয়ত জমির মালিকদের টাকার প্রলোভন দিচ্ছে। বাধা দিলেও মানছেন না তারা। এভাবে মাটি কেটে নিলে জমির টপ সয়েল নয় পুরো জমিই হারাতে হবে তাদের। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে কৃষদের মাঝে প্রচারনা চালানোর দাবী জানান তারা।

চারঘাটে ইটভাটার কয়েকজন মালিক জানান, কৃষক তার ফসলি জমির টপ সয়েল ইটভাটায় বিক্রি করা মানে ওই কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি এটা তারাও জানেন। তবুও ইট তৈরিতে মাটির প্রয়োজন। বর্তমানে চারঘাটে চলমান ১০ টি ইটভাটা রয়েছে। আর এসব ভাটার ইট তৈরি করার জন্য চারঘাটের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমির মাটিই সংগ্রহ করছেন তারা।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, উপরিভাগের ৬ ইঞ্চি হলো জমির প্রাণ। এটাকে টপ সয়েল বলে। টপ সয়েল কেটে নিলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলার কৃষকদের এ বিষয়ে আমরা সচেতন করছি। যেহেতু আমি চারঘাট উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি, আগামীতে এ ব্যাপারে আমরা কৃষদের সব রকম পরামর্শ দেবো।

 


আরপি/আআ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top