আম্পানের তাণ্ডবের পরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে চারঘাটের আম

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাগানে বাগানে চলছে আম সংগ্রহ। আম পাড়া ও আম প্যাকিংয়ে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চাষিরা। গত মাসের ১৫ মে থেকে রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আম পাড়া।
দেশে আম্পানসহ বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক তাণ্ডবের পরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে চারঘাটের আমের ফলন। শুরুতেই পাড়া হচ্ছে গুটি, গোপালভোগ ও খিরশাপাত জাতের আম।
উপজেলার রায়পুর গ্রামের আম চাষি মকবুল হোসেন বলেন, ১৫ বিঘা জমির ওপর আম বাগান আছে আমার। বাগানে গোপালভোগ, ক্ষিরশাপাত, হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম রয়েছে। নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও গাছে প্রচুর আম আছে।
প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক সময়ে আম পাড়া শুরু করা হয়েছে। এখন যদি সঠিকভাবে আমগুলো বাজারজাত করতে পারি তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।
পরানপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, করোনা দুর্যোগের কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা বাগানে আম কিনতে কম আসছে। তবে বাজারে আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমান সময়ের মত থাকলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে চারঘাট-বাঘা আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় "ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে" চারঘাট-বাঘার আম যাচ্ছে ঢ়াকায়। শুক্রবার সন্ধায় বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন থেকে তিন ব্যবসায়ীর আম নিয়ে ট্রেনে ঢ়াকায় আমের যাত্রা শুরু হয়েছে।
বর্তমান বাজারে প্রতি মণ গুটি জাতের আম ৮শ' টাকা, গোপালভোগ ২৩শ’, লক্ষণ ভোগ ৭শ', লেংড়া ১৬শ' ও কিছু জায়গায় হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ২১শ’ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান জানান, আম বাজারজাতকরণে প্রশাসনসহ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেক বিশেষ ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আম বাজারজাতকরণ জটিলতা কাটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ডাক বিভাগ এবং বাহিরের ব্যবসায়ীদের জন্য থাকবে করোনা কালীন বিশেষ ব্যবস্থাপনা। প্রকৃতির তান্ডবের পরেও চারঘাটে আম এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর চারঘাট উপজেলায় আম চাষ হয়েছে প্রায় ০৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছর উপজেলায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন আমের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আরপি/আআ-১০
বিষয়: লক্ষ্যমাত্রা চারঘাটের আম আম্পান তাণ্ডব
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: