রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৪, ২৬শে আশ্বিন ১৪৩১

রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা করতে গেলে জরিমানা


প্রকাশিত:
২১ মে ২০২০ ২২:৫৫

আপডেট:
১০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৯

রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা করতে গেলে এভাবে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহীর প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেও অনেকে লুকিয়ে খুলছেন দোকানপাট। আর ঈদের কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন মানুষ। 

মানুষের অবাধ চলাচল ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে কঠোর হয়েছে প্রশাসন। ঈদের কেনাকাটা করতে বের হলে ধরে জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানা না দিলে ঘন্টাখানেক রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় এমন অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বৃহস্পতিবার যারা নগরীর আরডিএ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন তাদের ধরে ধরে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে এক ঘণ্টা মার্কেটের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজ এ অভিযান চালান।

এর আগে বুধবার খুব প্রয়োজন ছাড়া রাজশাহী শহরে ঘোরাফেরা করলেই জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না থাকার কারণে জরিমানা করা হয়। এর আগের দিন মঙ্গলবার অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আরও কঠোর হয়েছে প্রশাসন। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা। এ অবস্থায় গত সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।

নগরীর আরডিএ মার্কেটে দোকান খোলার অপরাধে বুধবার এক ব্যবসায়ীকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবারও এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তারপরেও বৃহস্পতিবার এই মার্কেটের তিনজন ব্যবসায়ী দোকান খোলেন। তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর কেউ দোকান খুললে তাকেও জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, জনস্বার্থেই রাজশাহীর মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু রাজশাহী মহানগর নয়, সকল উপজেলার জন্যও এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। প্রয়োজন হলে তারা আরও কঠোর হবে।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top