রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরে উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্ত দুজনেই সুস্থ আছেন


প্রকাশিত:
১২ মে ২০২০ ০০:২৩

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৭:১৫

নমুনা সংগ্রহ (বামে) এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে চিকিৎসাধীণ উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তি সুস্থ আছেন। তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

দুই-একদিনের মধ্যে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির নমুনা আবারও পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হবে বলে সোমবার (১১ মে) দুপুরে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। বরং আগের তুলনায় অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রায় ৬৭জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৫জনের নেগেটিভ। আর দুই জনের পজেটিভ পাওয়া যায়।

সোমবার (১১ মে) দুপুর পর্যন্ত আক্রান্ত দুইজনের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাদের বাড়িতেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবে পাঠায়। শনিবার (০২ মে) সন্ধায় তার নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে সে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আব্দুল কাদের পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক।

এছাড়াও (৩০এপ্রিল) বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাংগীর পাড়া গ্রামে সাইদুল ইসলাম নামের (৪০) এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। সে (২৭এপ্রিল) ঢাকার নারায়ণঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরেন। এরপর (২৮এপ্রিল) সে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ঝাঁলমুড়ি বিক্রেতা বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

ইউএনও মহসীন মৃধা বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলেও ওই দুই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। তিনি সুস্থ আছেন। স্বাস্থ্যবিভাগ সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছে। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় আশেপাশের বাড়ি গুলোকে লকডাউন ঘোষণা করেছি।’ উপজেলা প্রশাসন থেকে আক্রান্ত দুই পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছানো হচ্ছে। এছাড়াও চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজ খবর নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

তিনি আরও বলেন, তাদের বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা আর কারও সংস্পর্শে গিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর কোনো সদস্যের করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। দুর্গাপুর থেকে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top