রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী কলেজে ফুটন্ত পদ্ম’র হাসি


প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২০ ০২:০৮

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ২৩:১২

রাজশাহী কলেজে ফুটন্ত পদ্ম’র হাসি

 

নৈর্সগিক অপরুপ আর নান্দনিকতা ক্যাম্পাসের আরেক নাম দেশ সেরা রাজশাহী কলেজ। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জুড়ি নেই কলেজ পুকুরে ফুটন্ত সাদা পদ্ম’র। রাজশাহী কলেজ প্রশাসন ভবনের পেছনে পুকুরের পাড় সংলগ্ন অগভীর পানিতে সেই সদ্য ফটন্ত পদ্ম’র চোখ জুড়ানো হাসির দেখা মিললো। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং দর্শনার্থীকেও বিমোহিত করবে ফুটন্ত পদ্ম । তাইতো নিজেকে সামলাতে পারলেন না কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান।


পদ্মের ভালোবাসায় সিক্ত হতে অগভীর পানিতে নামেন তিনি।এ সময় নিজেকে হারিয়ে ফেলেন তাঁর শৈশবের মাঝে। নিজ হাতে পুকুরে ফুল তুলেন অধ্যক্ষ। পরে সেই ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি । পোস্টটি পাঠকদের কাছে হুবহু তুলে ধরা হলো-


‘পুরাদুস্তর পল্লীগ্রামের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষাজীবন সবার মত আমারও শত স্মৃতির সিক্ত পাতায় এখনও সমুজ্জ্বল। বাড়ির অনতিদূরে অজস্র পদ্মফুলে ভরা পদ্মপুকুরে সাঁতার কেটে সতৃষ্ণ মন পদ্মকাঁটাকে পরবশ করে অপরিণত বয়সের আকুলতা পদ্মফুল ও পদ্মচাকা( পদ্মগর্ভ) তোলার সে দৃশ্য আমাকে হৃষিত করত প্রতিমুহূর্ত।


গ্রামের পদ্মপুকুরটি যখন পদ্মফুলে সয়লাব হত তখন সকালে ও বিকালে সেই দৃষ্টিসুখ সামলানো ও পদ্মগর্ভ তোলার অসহনীয় কষ্টের কথা ভেবে মায়ের সনেহ হাজারো বকুনি সস্মিত হাসিতে দিতাম ভাসিয়ে। অনেক ব্যর্থ প্রচেষ্টার সুফল রাজশাহী কলেজটি আজ হাজারো পদ্মফুলে সুশোভিত।


ক্ষণিকের তরে ফিরে গিয়েছিলাম সেই হিরণপ্রভা শৈশবের স্মৃতিসুতোয় গাঁথা গ্রামের পদ্মপুকুরে অনাবিল স্বাদের সরস কমল তুলতে কিন্তু হায়! সেই শৈশবকালের মনকে ছাপিয়ে পরিণত বয়স অকস্মাৎ সম্বিত ফিরিয়ে দিয়ে বলল,তুমি তো এখন অপরূপ রূপলাবণ্যবতী রাজশাহী কলেজ পদ্মপুকুরে।’


এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছুবিগুলো পোস্ট করার পর থেকেই অসংখ্য মানুষ তার প্রশংসায় বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। সাংবাদিক জিয়াউল গনি সেলিম মন্তব্যে লিখেছেন, নিজ হাতে গাছ লাগিয়ে ফুল ফোটাতে আনন্দের কোন সীমা নেই।


“অসাধারণ শব্দশৈলীতে লেখাটি চমৎকার অর্থে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে স্মৃতিচারণ করেছেন, ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলার দৃশ্যপটে” বলে মন্তব্য করেছেন শহিদুল ইসলাম নামের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।


সামসুল হক নামেক একজন লিখেছেন, “স্যার আপনার প্রসাশনিক ক্রিয়াকলাপের অন্তরালে যে একটি শিশুসূলভ মন লুকিয়ে আছে তার প্রতিফলন আজকের এই দৃশ্যপটে দর্পনের মধ্যে স্পষ্টত ধরা পরে গেছে। আপনার সুস্থতা কামনা করি।”
কলেজের উপাক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, “অসাধারণ শব্দ চয়ন ও বিন্যাসে শৈশবের স্মৃতি চারণ সবাইকে নিজ নিজ শৈশবে ফিরে যেতে বাধ্য করবে। রাজশাহী কলেজ পরিবার আপনার মতো কোমল হ্নদয়ের একজন অধ্যক্ষ পেয়ে সত্যি গর্বিত।”


সরকারি সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বুলবুল সেখানে মন্তব্য করেন, “কৈশোরের সুন্দর স্মৃতি অম্লান হয়ে থাক। এতো সুন্দর বর্ণনা শব্দ শৈলীর অপরূপ শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত লেখা অনবদ্য দলিল হয়ে থাকলো। যেভাবেই বলিনা কেন আপনার সম্পর্কে তা কম হবে। তাই আর বেশি কিছু বলার সাহস করলাম না।”

 

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top