রাজশাহী বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে রাজশাহীতে স্কুলভিত্তিক ক্যাম্পেইন


প্রকাশিত:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:১৬

আপডেট:
১৫ মে ২০২৪ ১০:৪৯

নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে রাজশাহীতে স্কুলভিত্তিক ক্যাম্পেইন

 

নারী ও শিশুর প্রতি যেকোনো ধরনের নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে রাজশাহীতে স্কুলভিত্তিক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মহানগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং বালিয়া পুকুর বিদ্যানিকেতনে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্র্যাকের সহযোগিতায় এবং উন্নয়ন সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র আয়োজনে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে সচেতনতামূলক এই কর্মসূচি শেষ হবে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় নারী ও শিশুর প্রতি বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি, যৌন এবং প্রজননমূলক স্বাস্থ্য অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন দেন এসিডির মনিটরিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন। পরে এই প্রেজেন্টেশনের উপরে ভিত্তি করে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসময় সর্বোচ্চ উত্তরদাতা পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে সচেতনতামূলক এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী গণস্বাক্ষর কর্মর্সূচিতে অংশ নেয়। ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামে যৌন হয়রানি/নির্যাতন প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।


শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম মাওলার সভাপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেল শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্র্যাকের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মেহেদী হাসান, ডিভিশনার ম্যানেজার রায়হানুল ইসলাম, এসিডির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিরাজ উদ্দিন তালুকদার, ব্র্যাকের সেক্টর স্পেশালিস্ট কৌশিক বিশ্বাস ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান।


এসময় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ড. গোলাম মাওলা বলেন, ‘২১ ও ১৮ বছরের কম বয়সে কারো বাবা-মা বিয়ে দিতে চাইলে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আমরা সচেষ্ট থাকবো। আমরা যদি সবাই সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখি তাহলে যৌন হয়রানি নামে সমাজের যে ব্যাধি সেটি থাকতো না।’


প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেল শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের বলেন, ‘শিশুরাই আগামির ভবিষ্যত। তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের সমাজের সবার দায়িত্ব। আমরা নারী-শিশুদের যদি নিজেদের মা-বোন কিংবা সন্তানের চোখে দেখি তাহলে সমাজে এই নেতিবাচক প্রভাবটি থাকতো না। তাই আমাদের সবাই উচিত, যৌন হয়রানি/নির্যাতন প্রতিরোধে সকলেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।‘


একইভাবে বুধবার বিকাল ৩টায় নগরীর বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতনে এই ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে নারী ও শিশুর প্রতি বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি, যৌন এবং প্রজননমূলক স্বাস্থ্য অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়। একইভাবে ৫ কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে সচেতনতামূলক এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে যৌন হয়রানি/নির্যাতন প্রতিরোধে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দসহ সবমিলিয়ে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top