‘আওয়ামী লীগের মধ্যেই রাজাকার ঢুকে আছে’

ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যে করেছে তাদের মধ্যেই রাজাকার রয়েছে। রাজাকার আছে বলেই এমন গোলমাল করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যদি এটি ঠিক করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের খুব বিপদে পড়তে হবে। আওয়ামী লীগকে বলবো তোমাদের মধ্যে রাজাকার ঢুকে আছে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে রাজাকারের তালিকায় যে তিনজন এডভোকেটের নাম এসেছে তাদেরকে আমি খুব ভালো করে চিনি। শুধু এখানে নয়, চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানিয়ে বসে আছে। বুঝতে পারছি না এরা কি করতে চাচ্ছে।
ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে রাজাকারের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও বিতর্কিত তালিকা তৈরিতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহী। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট মোড়ে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম বলেন, রাজকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। এরকম একটি কাজের দায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রনালয় কখোনো এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমরা চাই রাজকারদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার করা হোক।
এসময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দ্বিলীপ কুমার ঘোষ, সাংবাদিক মোস্তাফিজ আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাজশাহী মাহনগর শাখার সভাপতি নুরুল আমিন প্রামানিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের সদস্য আরিফুল হক কুমার এবং রাজশাহী মহিলা পরিষদের সভানেত্রী সম্মিলিত জোটের সদস্য কল্পনা রায়সহ অনেকেই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
এ অসঙ্গতিপূর্ণ তালিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যরা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় রাজশাহী বিভাগের ১ থেকে ১৫৪টি তালিকা রয়েছে। এই তালিকায় কয়েকশ ব্যক্তির নাম রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুসহ ৫ জনের নাম। তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে।
আরপি/এমএইচ
বিষয়: রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: