রাজশাহী সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২

আরএমপি ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে দুঃস্থদের নিয়ে শারদ উৎসব


প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৮

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৪১

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজশাহী শহরে আয়োজন করা হয়েছে শারদ আনন্দ উৎসব।

রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজশাহীর নাইস কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনের মধ্যে ছিলো দুঃস্থ মানুষের জন্য মাত্র সাত টাকায় চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, মাছ মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ব্যবস্থা। সাত টাকায় নতুন শাড়ী, লুঙ্গি, পাঞ্চাবী, বাচ্চাদের পোষাক কেনার ব্যবস্থা। আছে মিষ্টি ও বিশেষ খাবার আয়োজন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ।

আরও পড়ুন: তৃতীয় বারের মতো রাসিক মেয়রের দায়িত্ব নিলেন লিটন

বাংলাদেশের যে কোন ধর্মীয় উৎসবে দুঃস্থদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর ঈদ, পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা সহ বিভিন্ন উৎসবে সেবামূলক উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসবে দুঃস্থ পরিবারগুলো যেন উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য এই ভিন্নধর্মী আয়োজন। হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি এই আয়োজনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অন্যান্য ধর্মালম্বী সুবিধাবঞ্চিতরাও অংশ নিয়েছে।

বিদ্যানন্দ মনে করে উৎসব শুধু ধনীদের জন্য নয়, এতে গরীবদেরও অংশ গ্রহণের অধিকার আছে। আর বিদ্যানন্দ বঞ্চিতদের সে অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে। এই কাজে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে পাশে পেয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

উৎসবে রাজশাহীর প্রায় ১০০০ মানুষ অংশ নেয়। সাত টাকার মধ্যে প্রতীকী মূল্য চাল, ডাল, তেল, লবণ, আটা, নারকেল, চিনি, গুড়, মাছ, মুরগী, সবজি, বাচ্চাদের শিক্ষা সামগ্রী সহ প্রায় ২৬ টি আইটেম কেনার সুযোগ পায় একেকটি পরিবার। পাশাপাশি সাত টাকার মাঝে পরিবারের জন্য শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্চাবী কিংবা বাচ্চাদের জামাকাপড় কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রতিটি পরিবার সাধারণ বাজার মূল্যে প্রায় দেড় হাজার টাকা সমমূল্যের পণ্য পায়।

দেশ বিদেশে ভিন্নতর ও অভিনব সব আইডিয়া নিয়ে সেবামূলক কাজ করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদ্যানন্দ। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে কেউ যখন ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা তখন জীবনবাজি রেখে করোনা মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখসমরে যুদ্ধ করে সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করে নেয় এই প্রতিষ্ঠান। সমাজসেবায় তাদের অসামান্য সব অবদানের জন্য ২০২৩ সালে সরকার তাদের একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়াও ২০২২ সালে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কতৃক জাতীয় মানবকল্যান পদক ও ২০২১ সালে বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কতৃক "কমনওয়েলথ পয়েন্টস অফ লাইট" পদকে ভূষিত হয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

 

 

আরপি/এসআর-১৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top