রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

ড. তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন হাসপাতালে


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩ ০৫:১৪

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০৩:১৩

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অসুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বুকে ব্যথা উঠলে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফএম শামীম আহম্মেদ হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীর কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিন বলেন, আজ (শুক্রবার) সকালে হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে তাকে দ্রুত কারা হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এফ এম শামীম আহম্মেদ জানান, অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে প্রথমে হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে প্রিজন সেলে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিভাগের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি খুনের শিকার হন। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালামকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়াও রাবি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সীকে খালাস দেন।

২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন হাইকোর্ট।

এরপর আবারও রিভিউ আবেদন করেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। তবে এ বছরের ২ মার্চ রাবি অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তাই বহাল থাকে আপিল বিভাগে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও।

পরে দণ্ডিত এ দুজনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে গত ৭ মে ফের রিট আবেদন করেন তাদের স্বজনরা। কিন্তু উত্থাপিত হয়নি মর্মে পরে সেই আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বশির উল্ল্যার হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তীতে কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে এ ঘটনায় দোষ স্বীকার করে নিজেদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন জানান। তবে রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন। ফলে তাদের ফাঁসি কার্যকর সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top