রাসিক নির্বাচন: যান চলাচলে মানতে হবে যতো নির্দেশনা

আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। নিষেধাজ্ঞায় মহানগর এলাকায় ব্যক্তিগত ও পাবলিক পরিবহন চলাচলে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নগর এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মহানগর পুলিশ।
এরই অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন অর্থাৎ ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার, ইজিবাইক, লঞ্চ, ট্রলার, স্পীড বোট, টেম্পো, বেবিট্যাক্সি/অটোরিক্সা এবং অন্যান্য সব যন্ত্রচালিত যানবাহন যেমন-নসিমন, করিমন, ভটভটি, টমটম ইত্যাদি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়াও নগর এলাকায় নির্বাচনের আগের দুই দিন অর্থাৎ ১৯ জুন মধ্যরাত থেকে নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ২২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরণের মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের স্মারক নং-১৭.০০.০০০০.০৩৪. ৩৭.০০২.২২-৩৯৫ এবং স্মারক নং-১৭.০০.০০০০.০৩৪.৩৭.০০২.২২-২৯৬ এর আলোকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী/বিদেশী পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশী-বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজে যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরী পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নৌ-যান ও দূর পাল্লার নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২১ জুন ইভিএম পদ্ধতিতে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১২ জন ও ১০টি সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে লড়ছেন ৪৬ জন প্রার্থী। নগরীর মোট ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জরুরি বিবেচনায় তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র এবং ১৬২টি অস্থায়ী ভোটকক্ষ প্রস্তুত রাখবে কমিশন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভোটার ৬ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
আরপি/এসআর
বিষয়: আরএমপি রাসিক নির্বাচন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: