মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার দায়ে পাঁচ যুবকের সাজা
                                মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় দুই যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। একইসঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।
এ ঘটনায় মামলার অপর তিন যুবককে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ওই আদালত। একইসঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সশ্রম কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত তরুণ কুমার মন্ডলের ছেলে তাপস কুমার মন্ডল (২৭) ও পশ্চিম আরপাড়া গ্রামের তোরাব মোল্যার ছেলে বাপ্পি মোল্যা ওরফে বাকেল মোল্যা (৩৮)।
এছাড়া জরিমানা হওয়া আসামিরা হলেন—ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন মল্লিকপাড়ার ইবাদত মল্লিকের ছেলে সাকাওয়াত মল্লিক (২৪), রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার বাঘুটিয়া গ্রামের জুয়েল শেখ ২২) এবং কৃষ্ণ বালার ছেলে উজ্জ্বল বালা (২১)।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পাবনার আতাইকুলা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের এক নারীকে ফোন করে প্রতারক চক্রটি। সেদিন প্রতারণা করে ওই নারীর বিকাশ থেকে ২৯ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। এ ঘটনায় সেদিনই ভুক্তভোগী নারী আতাইকুলা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করে। তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী ইসমত আরা জানান, রায়ে আসামি তাপস ও বাপ্পিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৩(২) ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৪(২) ধারায় তাদের আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপর আসামি সাকাওয়াত, জুয়েল ও উজ্জ্বলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৩(২) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৪(২) ধারায় তাদের আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে বলেও জানান পিপি ইসমত আরা।
আরপি/এসআর-০২

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: