রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

‘নতুন প্রজন্মের মেধা-মননকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে’


প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৪

ছবি: আলোচনা সভা

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রয়াস এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২৬ মার্চ ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে গোটা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্খায় উজ্জীবিত করেছিলেন। তাঁর ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বঞ্চনা, অন্যায়, অবিচার, সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অহংকার ও শৃঙ্খল মুক্তির দিন, বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে উজ্জীবিত হওয়ার দিন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অতিমারি করোনার মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ২ শতটি দেশের মধ্যে আমরা ৮ম। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। মহান স্বাধীনতার ৫২তম বছর পেরিয়ে ৫৩তম বছরে এসে আমরা বেশ কিছু গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছি।

আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পদার্পণ করেছি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে সাফল্য অর্জন করেছি। এসময় সকলকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার উদাত্ত আহ্বানও জানান বিভাগীয় কমিশনার।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল হাদী ও জিন্নাতুন নেসা তালুকদার।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এর আগে দিবস উপলক্ষে রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান।

পরে সকাল ৮টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

 

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top