রাজশাহীতে ইআরডির কর্মশালা
শিল্পের বহুমুখীকরণ ও কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বারোপ
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনকে টেকসই করতে রাজশাহীতে কৃষিজ সম্পদের সদ্ব্যবহার, শিল্পের বহুমুখীকরণ, দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন এবং কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর এক মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এ গুরুত্বারোপ করেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইআরডি‘র সচিব শরিফা খান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ভাষাসৈনিকপুত্র ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান, রাসিক মেয়রপত্নী বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম মোয়াজ্জেম হোসেন খান।
কর্মশালায় এসএসজিপি প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেছার আহমেদ ও কম্পোনেন্ট ম্যানেজার রেজাউল বাশার সিদ্দিকী পৃথক দুটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যবহুল আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরডি‘র অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি‘র প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আজিজ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। এতে বিশ্বজুড়ে উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। উত্তরণ প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জাতীয় কমিটির দিকনির্দেশনায় সাতটি সাবকমিটি গঠন করেছে সরকার। তবে সুনাগরিক হিসেবে স্ব স্ব জায়গা থেকে প্রত্যেকের কাজ করা দরকার।
তারা বলেন, আমরা পিছিয়ে পড়ার জাতি নই। পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগও নেই। আমাদেরকে সামনেই অগ্রসর হতে হবে। এছাড়া সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। এ সময় সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ইতিবাচক সম্ভাবনায় পরিণত করার আহবান জানান ইআরডি সচিব শরিফা খান।
কর্মশালায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইআরডি ও এসএসজিপি প্রকল্প এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরপি/আআ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: