রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

‘গ্রিন ও ক্লিন’ রাজশাহী ঘুরে সৌন্দর্যে মুগ্ধ চীনা রাষ্ট্রদূত


প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২৬

আপডেট:
১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৪১

ছবি: সৌজন্য সাক্ষাৎ

‘গ্রিন ও ক্লিন’ রাজশাহী ঘুরে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়রের দফতর কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।

রাসিকের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক বৈঠকে মিলিত হন লি জিমিং। বৈঠকে নগরীর সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।

বৈঠক শেষে লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন এবং ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।

লি জিমিং বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্থিত ইপিজেডে চীনের পাঁচটি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ছয়টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চীন সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উভয় দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈঠক শেষে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, চীন বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম একটি দেশ এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বেশির ভাগ বড় বড় অবকাঠামো তাদের কোম্পানি বা তাদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

রাসিক মেয়র বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চীনের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটার বিষয়ে সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে।

মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দিই। সেগুলো সারা বিশ্বে টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানি ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে শহরের যত বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দিই, তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।

দেশের জুট মিল, সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চীন সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারাভিত্তিক দেওয়ার মাধ্যমে নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা হয়। তারা বলেন, চীন প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাব দিলে তারা তা গ্রহণ করবে বলে জানান মেয়র লিটন।

বৈঠকের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, জোন কাউন্সিলর উম্মেল সালমা বুলবুলি, আয়েশা খাতুন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং এডভাইজার আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

 

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top