রাজশাহী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে টিসিবির পেঁয়াজ সবজি দোকানে, ডিলার বরখাস্ত


প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:১২

আপডেট:
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:৪২

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রিতে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টিসিবির পেঁয়াজ কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে একজন ডিলারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার জামানত।

এদিকে টিসিবির পেঁয়াজ রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দোকানে বিক্রির অভিযোগে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, টিসিবির পেঁয়াজ দোকানে বা সবজি বাজারে পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির পরও রাজশাহীতে পেঁয়াজের বাজারে দামের আগুন একটুও কমেনি। বুধবার রাজশাহীতে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট মনিটরিং সেলের সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে নগরীর ভদ্রা মোড় এলাকায় ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে টিসিবির ডিলার ওয়াসিম ট্রেডার্স। ১ ঘণ্টা পেঁয়াজ বিক্রির পর কিছু পেঁয়াজ নিয়ে চলে যাওয়ার সময় লোকজন ট্রাক আটকে বাকি পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এ ঘটনা তদন্তের পর বুধবার টিসিবি ওয়াসিম ট্রেডার্সের ডিলারশিপ স্থগিত করেন। সেখানে বুধবার নতুন একজন ডিলারকে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগে জানিয়েছেন, কঠোর হুশিয়ারি সত্ত্বেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন সবজি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে টিসিবির পেঁয়াজ। ক্রেতারা টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজ নগরীর লক্ষ্মীপুর ও হড়গ্রাম বাজারের কয়েকটি দোকান থেকে কিনেছেন ১৯০ টাকা কেজি দরে। ইকবাল নামের একজন ক্রেতা বলেন, টিসিবির ট্রাকে যে ধরনের বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে একই পেঁয়াজ নগরীর বিভিন্ন বাজারের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে।

এসব পেঁয়াজ সবজি বা মুদির দোকানে কীভাবে এল সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। হড়গ্রাম বাজারের একজন বিক্রেতা বলেছেন, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছেন তিনি তাদের কাছ থেকে ১৩০ টাকা কেজি করে কিনে এনে বিক্রি করছেন। বিক্রেতাদের আরও দাবি, ছোট ছোট শিশুরা টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনে এনে তাদের কাছে বিক্রি করছে। তবে সবজির দোকানে এত বেশি পরিমাণ এ পেঁয়াজ দেখে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, সেগুলো টিসিবির ডিলারের কাছ থেকেই এসেছে। তা না হলে এত বেশি পরিমাণে থাকার কথা নয়।

এদিকে রাজশাহী টিসিবির ইনচার্জ প্রতাপ কুমার বলছেন, ছোট শিশু বা যে কেউ টিসিবির পেঁয়াজ এনে দিলেও সবজি ব্যবসায়ীরা তা কিনতে পারবেন না। সরকারিভাবে এ পেঁয়াজের ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে বুধবার নগরীর রেলগেট ও ভদ্রা মোড়ের ট্রাকসেল পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রি শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই এক টন পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়েছে।

রেলগেট পয়েন্টে লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, এক ঘণ্টায় একশ’জনকে এক কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আধা ঘণ্টার কম সময় লাগার কথা নয়। এক্ষেত্রে ঘণ্টায় ২০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে পারে। সেই হিসাবে ১ টন সমান ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রিতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগার কথা।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top