জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: ফল কেনা যেন বিলাসিতা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফলের দামও। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে ফল। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফলের দাম বাড়ছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহীতে প্রায় সব ফলেরই কেজিপ্রতি ১৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। নগরীর সাহেব বাজার, জিরোপয়েন্ট, রেলগেট, লক্ষীপুরসহ সব জায়গায় প্রায় সমান দামে বিক্রি হচ্ছে ফল।
সবুজ আপেল ৩৫০ টাকা, কমলা ২৫০-৩০০ টাকা, মাল্টা ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত মাসের তুলনায় আপেল, কমলা ও মাল্টার দাম কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা বেড়েছে।
বেদানা ৩৫০-৫০০ টাকা, চেরি ফল ৫০০-৬০০ টাকা, নাগফল ২৮০-৩০০ টাকা, ড্রাগন ফল ৪৫০-৫৫০ টাকা ও নাসপাতি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত মাসের তুলনায় এসব ফলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১৫-২৫ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে খেজুরের। মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৬৯০-৭০০ টাকায় ও করমি খেজুর ৪৮০-৫১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্চে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুই খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। আমবা খেজুরের দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকা হয়েছে। দাড়াশ ও বরই খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।
প্রতি পিস ডাবের দাম ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। আনারস ও কলার দাম অপরিবর্তিত আছে। তবে আঙুরের দাম কমেছে। কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা কমে মানভেদে প্রতি কেজি আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৫০০ টাকায়।
শরিফুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘এখন শুধু বাচ্চাদের জন্য ফল কিনি। কেননা নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফল কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। বর্তমান অবস্থায় ফল কেনার আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে।’
রাজশাহী ফল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সুমন বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এই দুই খাতে খরচ বাড়ার কারণে ফলের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: