বাঘায় এখন নামেই শুধু রইলো চকরাজাপুর

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে ভাঙ্গনের কবলে হারিয়ে যাচ্ছে চকরাজাপুর মৌজার ভূখন্ড। বর্তমান সরকারের সময়ে পদ্মার চরে ১৫টি গ্রামকে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এই ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার লোকে বসবাস। তিন হাজার পরিবারে ২০ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে । ইতিমধ্যেই পদ্মা গর্ভে বিলিন চকরাজাপুর এখন নামেই শুধু রইলো চকরাজাপুর চকরাজাপুর ।
পদ্মার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গন থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে অবস্থান করছে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ।
উপজেলার পদ্মাচরে চকরাজাপুরে ইউনিয়নের ১৫টি চর ভাঙনের মুখে। এর মধ্যে চরকালিদাসখালী, জোতকাদিরপুর, দিয়ারকাদিরপুর, লক্ষীনগরসহ পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ১৫টি বাড়ি, আম বাগান, কুল বাগান, পেয়ারা বাগান, শাকসবজি, আখ ক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত শত বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
লক্ষীনগর চরের এলাকাবাসীরা বলেন, ভাঙ্গনের কারনে আমরা খুব আতংকে আছি। কয়েকবার ভাঙ্গনের কারনে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছি। যে হারে পদ্মা ভাঙছে, মনে হচ্ছে এবারও চর থেকে একবারে সরে যেতে হবে।
এই পদ্মার চরে মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাসখালী, পূর্ব চকরাজাপুর এগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এই দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ান বলেন, বর্তমানে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে ভাঙ্গছে শুরু হয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট হয়ে একবারে চিহৃ হারাতে বসেছে চকরাজাপুর ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পদ্মার ভাঙ্গনের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।
আরপি/এমএএইচ
বিষয়: চকরাজাপুর বাঘা মৌজার ভূখন্ড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: