রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

ভাড়া বাড়ানোর অপেক্ষায় রাজশাহী পরিবহন মালিকরা


প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২২ ০১:৩৭

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৮

ছবি: সংগৃহিত

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাস ভাড়া সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী পরিবহন মালিক সমিতি।এ কারণে শনিবার (০৬ আগস্ট) সকাল থেকে দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।

তবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা রুটের যাত্রীবাহী বাসগুলো চলছে। এসব বাসে ঘোষণা ছাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

নগরীর শিরোইলের ঢাকা বাস টার্মিনালে গিয়ে অধিকাংশ পরিবহনের টিকেট কাউন্টারের কার্যাক্রম বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন পরিবহন কর্মী জানিয়েছেন, মধ্যরাত থেকেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে তাদের কিনতে হয়েছে জ্বালানি। কিন্তু এখন বাস চালালে আগের ভাড়ায় চালাতে হবে। ফলে বাধ্য হয়ে বাস বন্ধ রেখেছে মালিক পক্ষ। ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা আসলেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে উল্টো চিত্র অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া সব বাসের বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় পাড়ি দিয়েছেন যাত্রীরা।

দুপুরের পরে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব।
তিনি জানান, রাজশাহীতে গণপরিবহন আগের ভাড়াতেই চলছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বৃদ্ধির দাবি আছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বসার কথা রয়েছে। এদিকে পরিবহন সংকটে চাপ বেড়েছে বিভিন্ন রুটের ট্রেনে। আসন না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন।

বাস মালিকদের সংগঠন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা কদিন ধরেই শুনছি যে তেলের দাম বাড়বে,তবে একসঙ্গে এতটা বেড়েছে যে, বাস চালানো মুশকিল। আগের ভাড়ায় বাস চালানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে, আমরা বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। যাদের ইচ্ছা হচ্ছে বাস চালাচ্ছে, যাদের ইচ্ছা হচ্ছে না চালাচ্ছে না।’
রাতে প্রায় সবগুলো পাম্পেই যানবাহনের লম্বা লাইন দেখা যায়, গভীর রাত পর্যন্ত এই অবস্থা ছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার দিকে শহরের পেট্রল পাম্পগুলোতে তেল নিতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন মোটরসাইকেল চালকরা। শহরের প্রায় সবগুলো পাম্পেই লম্বা লাইন হয়। এ সময় পাম্পগুলোর সামনে বিশৃংখল অবস্থা তৈরি হয়। কেউ সামান্য তেল পেয়েছেন আবার কেউ না পেয়ে ফিরে গেছেন। সকাল থেকে এর প্রভাব পড়েছে বাসযাত্রীদের ওপর।

ভোরে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল কমতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় বাসের সংখ্যা আরও কমে যায়। বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন যেসব বাস চলে তার বেশিরভাগই সকাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

রাজশাহী-ঢাকা রুটের একতা পরিবহনের রাজশাহী অঞ্চলের ইনচার্জ মো. সুমন বলেন, ‘তেলের যে দাম তাতে বাস চালানো মুশকিল। তবে, অনেকেই আগে টিকিট কেটেছেন। আবার শনিবারে গাড়িতে যাত্রীর কিছুটা চাপ থাকে। এসব বিবেচনা করে আমরা কিছু গাড়ি চালাচ্ছি।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাত ১২টা থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এতে বাস পরিচালনার ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই বাস ভাড়া সমন্বয় করা জরুরি বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top