রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পদ্মার ভাঙ্গনে ঝুঁকিতে থাকা বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের নির্দেশ


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২২ ০৪:২৫

আপডেট:
১৪ মে ২০২৪ ২২:৫৮

ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। আর সেই পদ্মার ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সেই ঝুঁকিতে থাকা বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৬টার দিকে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে থাকায় স্কুলের মালামাল যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য মালামারগুলো একটি স্থানে রাখার অনুমতি দেওয়া ছিল। পদ্মা গর্ভে যেন না যায় তার জন্য বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হলো।

জানা যায়, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নে স্কুলটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্টিত হয়। পদ্মার মধ্যে প্রতিষ্টিত হওয়ায় ভাঙ্গনের কারনে ১৯৯৮ সালে, ২০১৬ সালে, ২০২২ সালের ২৯ জুলাই দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়টির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৩ জন। কর্মরত শিক্ষক রয়েছে ৩ জন। এবার দিয়ে মোট তিনবার স্থানান্তর করা হয় বিদ্যলয়টি।

জমির সংকটের কারণে বর্তমানে স্কুলটির স্থানান্তরের স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কোন জমিও পাওয়া যাচ্ছেনা। নিরুপায় হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের বাড়ির আঙ্গিনায় স্কুলের আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তবে সাম্পতিক সময়ে বিদ্যালয়ে ভবনটি ভাঙ্গন থেকে মাত্র ৫ মিটার দুরে রয়েছে ।

স্কুল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহম্মেদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান, চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম, চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ আবদুস সাত্তার প্রমুখ।

 

আরপি/ এমএএইচ-১৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top