রাজশাহী সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২

গোপন অভিযান

রাজশাহীতে টিকিট কালোবাজারিতে কর্মচারী আটক, সাময়িক বরখাস্ত


প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০২২ ০৩:০৬

আপডেট:
২০ জুলাই ২০২২ ০৫:১২

রাজশাহীতে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট বিক্রির সময় জিয়াউর রহমান (৩৬) নামে এক রেল কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) গোয়েন্দা সদস্যরা। এসময় রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ৫টি টিকিট জব্দ করা হয়েছে।

আটক কর্মচারী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপকের বার্তাবাহক বলে জানা গেছে। একইসাথে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আটককৃত কর্মচারী রাজশাহী নগরীর রেল কলোনীর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়ার আগ মুহূর্তে স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে স্ত্রীর মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে সারাদিনের মতো সোমবার রাতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আরএনবির গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় সন্দেহজনক চলাফেরা করা অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে থাকে গোয়েন্দা টিম। পরে প্লাটফর্মে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সঙ্গে টিকিটের দামদর ঠিক করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আরএনবি (গোয়েন্দা) রাজশাহীর ইনচার্জ উজ্জ্বল হোসেন। তিনি বলেন, অফিসিয়ালভাবে রেল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মুচলেকার মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রেলেই চাকরিরত তার স্ত্রীর মাধ্যমে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আকটকৃত কর্মচারী উজ্জল নিজেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের ঘনিষ্টজন বলেও দাবি করেন।

এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বিষয়টি রেল বিভাগীয় হওয়ায় আমরা বিভাগীয় অ্যাকশনে যাচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছি। প্রত্যককে ক্রস পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে। কোন রেলওয়ে কর্মচারীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমি নিজে হাতে ২ জন কালোবাজারীকে ধরে একজনকে এনআরবি এর হাতে দিয়েছি, অন্যজনকে থানায় হস্তান্তর করা হলো। এগুলো কি কালোবাজারীকে উৎসাহিত করার জন্য না উৎপাটনের জন্য তা বিবেচনায় আনতে হবে।

ঘটনার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলেন, টিকিট কালোবাজারি কেউ রেলের হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা সাধারণ কেউ হলে পুলিশে দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি চাকরিরত হওয়ায় সে সাস্পেনশনে আছে। আমাদের রুলসে বিষয়টি অসদাচরণ হিসেবে দেখা হয়। তাই রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখানে ব্যত্যয় হলে আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে।

ওই প্রতারক রেলের মহাব্যবস্থাপকের ঘনিষ্ঠজন দাবি করা প্রসঙ্গে অসীম কুমার বলেন, ধরা পড়লে অনেকেই বাঁচার জন্য অনেক কথা বলে। আমার তার সাথে কোন সম্পর্কের প্রশ্নই ওঠেনা।

 

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top