রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের আগে

রাজশাহীর বাজারে বাড়লো মুরগীর দাম , স্থিতিশীল পেয়াজের দাম


প্রকাশিত:
৫ জুলাই ২০২২ ০৫:১২

আপডেট:
৫ জুলাই ২০২২ ০৫:১২

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা থেকে বেরেছে ১৫ টাকা, সোনালীতে ১০ টাকা ও পাতিহাঁসের কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। কয়েকদিন পরেই ঈদ। আর এই কারণে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেরেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পেয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ সোমবার (৪ জুলাই) রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২১০ থেকে ২৩০ টাকা । পাতিহাঁসের কেজিতে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঈদের আগে হাঁসের কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩২৫ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৪৫ থেকে ৩৫০ টাকা।

মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু রাজশাহী পোষ্টকে বলেন, গরুর মাংসের দাম বাড়ায় ফার্মের মুরগির চাহিদা বেশি। তাই এ সপ্তাহে দাম একটু বেশি। তবে আগামী সপ্তাহে দাম অনেকটা কমে যাবে। অনেক মানুষ গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করতে যাওয়া চাহিদা কমে থাকে। ঈদের পরে তুলনায় সোনালি মুরগি বেশি বিক্রি হয়। দাম আর কমবে না। কারণ, বিয়েশাদী শুরু হয়েছে। তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেশি।

এদিকে মাসের শুরুতে হটাৎ বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সাহেববাজার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম রাজশাহী পোষ্টকে বলেন, পেঁয়াজের দাম হটাৎ বেড়েছিল কিন্তু আবার দাম কমে গেছে। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা। কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

রাজশাহী সাহেব বাজারে সবজি কিনতে আসা রাজশাহী কলেজের মেসে থাকা ছাত্রী নুরানী। তিনি জানান, খরচ কমাতে নিজেরা বাজার করি, নিজেরা রান্না করে খাই। তেলের দাম না কমায় মাসের ২০ তারিখ যেতেই বাড়ি থেকে আনা টাকা শেষ হয়ে যায়। তাই মাসের শেষ দিকে অনেক কষ্টে চলতে হয়।

বাজারে সবজির দাম চড়া। তবে, কমেছে বেগুন-পটলের দাম। সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে সবজির দামও বাড়তি। প্রায় সপ্তাহখানের আগে অনাবৃষ্টির কারণে কিছু সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পটল, বেগুন, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে আছে। আমদানিও বেশি ফলে দাম কমেছে।


বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, করলা কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি আলু ২৫ টাকা, ডায়মন্ড-কার্ডিনাল আলু ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ক্ষীরা- শশা প্রতি কেজি ২০ টাকা।

মসলার বাজারে দেখা যায়, পেঁয়াজের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ বাজারে ৪০ টাকা। আর আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহিনুর ইসলাম বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, আবার কমে যায়। গত শুক্রবারে একটু কম দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। আজ প্রতিকেজি ৫-৭ টাকা বেরেছে। এছাড়া সামনে পেঁয়াজের দাম কতটা কমবে নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশে কখন কোন জিনিসের দাম বাড়বে কেউ জানেনা।

ঈদের বাজার হিসেবে এখনো অনেক অংশে বাজার দর অপরিবর্তিত আছে। তেমন কোন কিছুর দাম এতটা বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যায় না। সব কিছুতে বাজার দর আরেকটু নামিয়ে আনার দাবি শিক্ষার্থীদের। বাজারে দাম বৃদ্ধিতে অনেকে বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারছে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top