রাজশাহী সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২

রাজশাহী জেলায় চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রায় ৩৬ শতাংশ


প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০৬

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৮

রাজশাহীতে হঠাৎ করেই বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। নেসকো লি. এর দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহীতে বিদ্যুতের চাহিদার অনুপাতে ঘটতি রয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। একেতো রমজান মাস তার ওপর গ্রীশ্ম কাল! এর মাঝে বিদ্যুতের এমন আসা যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে অশান্তি ও ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে।
এদিকে রাজশাহী নগরবাসীর দাবি, ব্যাটারিচালিত অটো ও রিক্সা চার্জ দেয়ার কারণে সাধারণ চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়তে হচ্ছে রাজশাহীবাসীকে। আর অটো ও রিক্সা চালক ও মালিকদের দাবি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। চার্জের জন্য গ্যারেজগুলো পুরো টাকা আদায় করে নিলেও বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের যানবাহনে পুরোপুরি চার্জ হচ্ছে না।
নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেগম জানান, গত তিন দিন থেকে হঠাৎ করেই বিদ্যুত বিভ্রাট বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজান মাসে এমন বিদ্যুত বিভ্রাট তাদের জন্য অশান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। একই অভিযোগ জানিয়েছেন বিভিন্ন অফিসে কর্মরতরা। তাদের দাবি বিদ্যুতের এমন যাওয়া আসায় কাজে ক্ষতি হচ্ছে। নির্ধারিত কাজের জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার কোন কোন অফিসের আর্থিক ব্যয় বেড়ে গেছে। অফিসে বিদ্যুত সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে জেনারোটরের ব্যবহার করতে হচ্ছে। যার জন্য তাদেরকে পেট্রোল বা জ্বালানী তেল কিনতে হচ্ছে।
এদিকে সেচ মৌসুম হওয়ায় রাজশাহীর উপজেলগুলোতে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি তোলা হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি তোলা যন্ত্র সহলভ্য হবার কারণে অনেকেই বুঝে বা না বুঝে কৃষি জমিতে ব্যক্তিগত ভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। তাছাড়া বিএমডিএর গভীর নলকূপগুলোর মাধ্যমেও কৃষদের দিন-রাত সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণেও কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
নেসকো লি. এর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী জেলায় চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রায় ৩৬ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে এই ঘাটতি পরিমাণ ১৫ শতাংশ। বিদ্যুত ঘাটতি সামাল দিতে নেসকো লি. এর কর্তৃপক্ষকে দিনের বিভিন্ন সময় এলাকা ভেদে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রখতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় বিদ্যুতের সরবরাহ বৃদ্ধি নয়তো ভোক্তা পর্যায়ে সম্মিলিত ভাবে ব্যবহার কমিয়ে আনা ছাড়া কোন উপায় দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
নেসকো লি. এর বিতরণ অঞ্চল রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। এই চাহিদার বিপরীতে নেসকো বিদ্যুতের সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র ৬৩ মেগাওয়াট। মহানগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও জানান, রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলার মধ্যে বগুড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সবচাইতে বেশি। বিভাগের মোট ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলেছে ৩৯০ মেগাওয়াট। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে সরবরাহের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীতে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান নেসকো লি. এর এই কর্মকর্তা।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top