রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

বিনা নোটিশে বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৪

ছবি: সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী নগরীর কোর্ট ঢালুর মোড় এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে বাড়ি নির্মাণে বিনা নোটিশে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার মো. রোকনুজ্জামান ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

এতে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক ৬ ব্যাংক কর্মকর্তার প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষতির কথা জানান ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. নাকিবুজ্জামান বলেন, আমরা ৬ ব্যাংকার ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে সাড়ে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করি বাড়ি নির্মাণের জন্য। গত বছরের ৬ অক্টোবর এনওসি পাই এবং আরডিএ থেকে ভবন নির্মাণের প্ল্যান পাশ হয় ২১ ডিসেম্বর। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি জমিটিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করলে তার দুদিন পর রহস্যজনকভাবে সেখানে পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার বাধা দেন। জমিটি অধিগ্রহণ করা হবে বলেও সার্ভেয়ার আমাদেরকে জানান।

এসময় অপর পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রানা, মতিউর রহমান, রুহুল আমিন, জহির রায়হান, নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই ক্রয়সূত্রে ঐ জমির মালিক। ব্যাংক কর্মকর্তারা আরও বলেন, জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশন থেকে লিখিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি।

অথচ হঠাৎ করেই ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার রোকনুজ্জামান। আমরা সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীর কাছে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে অন্য কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠান। বেশ কয়েকটি শাখায় যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান না পেয়ে পুনরায় আরডিএ কর্মকর্তার কাছে গেলে জমিটিতে বাড়ি নির্মাণে কোনো বাধা নেই বলে জানান আরডিএ কর্মকর্তা।

তবুও জমিটিতে এক মাস থেকে বাড়ি নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ৬ ব্যাংক কর্মকর্তার। এছাড়া একই জায়গায় বায়নামাসূত্রে আরো ৩৩ শতাংশ জমির দুই মালিকও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বিনা নোটিশে রহস্যজনকভাবে বাধা দেয়ার কারণে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার মো. রোকনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গাটি হড়গ্রাম বাজার নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনায় রয়েছে। মন্ত্রনালয়ে বাজেটটি পাশও হয়েছে। আমি শুধুমাত্র সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসন যাওয়া বা নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া বা নিষেধ করার বিষয়ে কিছু জানি না।

 

 

 

আরপি/এসআর-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top