বাঘায় বড়শি দিয়ে মাছ শিকার উৎসব

মৎস্য শিকারিরা জড়ো হয়েছেন, তখনও ভোরের আলো পুরোপুরি ফুটেনি। কিছুটা আলো ফুটতেই মৎস্য শিকারিরা এসে হাজির হয়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তারিনী বাবুর জমিদার বাড়ি খ্যাত দিঘা গ্রামে। সৌখিন মাছ শিকারিরা সকালে মাছ শিকার শুরু হওয়ার আগে নিজের ছিটে বসে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুকুরপাড়া সেই পুকুরে পাড়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন অর্ধ শতাধিক মৎস্য শিকারি। মাছ শিকার চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ টানা ১২ ঘণ্টা ।
এই মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, তেলাপিয়াসহ দেশি প্রজাতির মাছ। এলাকায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এ যেন এক মিলনমেলা সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, একদিনের শুরু হওয়া এ মাছ ধরার উৎসব দিনব্যাপি চলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরে দুইপাড়ে পলিথিন বিছিয়ে ৫০টি মাছ শিকারির আসন করা হয়েছে। প্রতিটি আসনে সর্বনিম্ন তিনজন থেকে সর্বোচ্চ আটজন পর্যন্ত মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি আসনের ফি ১৫‘শ টাকা করে। ৫০টি আসনে কমপক্ষে ১০০ মৎস্য শিকারি অংশ নেন। পুকুরের পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পানি বেশি থাকায় মাছ তেমন ধরা পড়েনি। পুকুরের তীরের দিকে কম মাছ মাঝখানে ছোটাছুটি করছে বেশি। তাই শিকারিদের বড়শিতে ধরা পড়ছে কম।
নাটোরে লিখন আহম্মেদ চারঘাট উপজেলার জাব্বার আলী , বানেশ্বর সাইফুল ইসলাম, বাউসার মুন্তাজ আলী ও দিঘা গ্রামের শাহাজাহান আলীসহ অন্তত পাঁচজন মৎস্য শিকারি দাবি করেন, যে আশা নিয়ে তাঁরা মাছ শিকারে এসেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। কম মাছ ধরা পড়েছে। খরচ ওঠেনি। তবে আনন্দ হয়েছে।
নাটোর জেলা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি ও মৎস্য শিকারি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝারি ও ছোট আকৃতির মাছের সংখ্যা বেশি। কেবল ৩ কেজি ওজনের একটি রুই মাছ পেয়েছি শুনেছি অন্য শিকারিরা তেমন বড় মাছ পায়নি।
আয়োজক আতাউর রহমান ডালিম বলেন, নিজ গ্রামের পরিচিতি বাড়াতে,একটি সুন্দর নৈসর্গিক পরিবেশে মাছ শিকারের আনন্দ পেতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
আরপি/এসআর-১১
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: