বাঘায় সরকারি জমি দখল করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে সরকারি খাস জমি দখল করে আঁধাপাঁকা দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আমোদপুর গ্রামের আফতার আলীর দুই ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০) ও তাহাজ্জত আলী (৩৭) সরকারি সেই খাস জমিতে জোরপূর্বক দোকনঘর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারি খাস জমিতে জোরপূর্বক দোকনঘর নির্মাণ করার বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত অভিযোগ করেন একই গ্রামের আজের প্রামানিকের ছেলে মমিন উদ্দিন।
অভিযোগের আলোকে সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দোকনঘর নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। পরে তার (সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বাক্ষরিত একটি পত্রে (যার স্মারক নং ৫১২,তাং-৮-৮-২০২১) সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ভবন (দখল পুনরুদ্ধার) অধ্যাদেশ ১৯৭০ মোতাবেক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে ওই পত্রে উল্লেখ করে অবৈধ দখলকারিদের জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগষ্ট) সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণকৃত (ওয়াল) গাঁথুনি ভেঙে ফেলা হয়নি। উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের বাজুবাঘা মৌজার ৬২৮নং খতিয়ানের ৬০৪৫ দাগে ২১ শতাংশ জমির মালিক আজের মণ্ডল। ওই জমির সাথেই বাঘা-আড়ানী পাকা সড়কের সাথে সরকারি খাস জমি রয়েছে। এই সড়ক (বাঘা-আড়ানী) সংলগ্ন আমোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিনে মমিনের বাড়ি। এর পূর্ব পাশে সরকারি খাস জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের কাজ করেন রবিউল ইসলামও তার ভাই তাহাজ্জত আলী ।
দখলকারি (বিবাদী) রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ পেয়েছি। পরে স্যারের সাথে দেখা করে দোকানঘর নির্মাণ কাজ করবো না বলে বলেছি।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, অবৈধ স্থাপনা নিজ দায়িত্বে ভেঙে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যেহেতু তারা এখন পর্যন্ত ভেঙে নেয়নি ,সেহেতু যে কোনো সময় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরপি/এসআর-১৫
বিষয়: বাঘা সরকারি জমি দখল ইমারত নির্মাণ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: