রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

জনতার বাধায় রাসিকের গাছ কাটা কার্যক্রম স্থগিত


প্রকাশিত:
৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:১৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২০:২২

ছবি: পদ্মাপাড়ের গাছ

রাজশাহী নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দরগাপাড়া এলাকার জনসাধারণের বাধার মুখে সিটি করপোরেশনের গাছ কাটা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বর্জ্য রাখার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) তৈরি করতে মঙ্গলবার পদ্মাপাড়ের গাছ কাটতে গেলে বাসিন্দাদের বাধার মুখে বন্ধ করতে হয়।

জানা গেছে, গতকাল তিনটি কড়ই ও পিটালি গাছের ডাল কেটে ফেলা হয়। পুরোপুরি কেটে ফেলতে গাছের গোড়ায় কুড়াল বসানো হয়েছিল। এসময় গাছ কাটার এখবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ১৫ থেকে ২০ জন স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হন । তাঁরা গাছ কাটতে বাধা দেন। 

স্থানীয়রা জানান, সারাদিনই বিনোদন পিপাসু মানুষের ভিড় লেগে থাকে এখানে। এর পাশে আছে পদ্মা গার্ডেন নামের একটি বিনোদনকেন্দ্র ও নরওয়ের সাংবাদিক মুনসগার্ডের নামে পার্ক। এই দুটি বিনোদনকেন্দ্রের মানুষই ঘুরতে এসে গাছের নিচে বসেন।

মোহাম্মদ মানিক নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, দিনের খুব কম সময়ই এই এলাকায় মানুষের আনাগোনা বন্ধ থাকে। তাই এখানে গাছ কেটে বর্জ্য রাখার ঘর করার উদ্যোগ কেউ মেনে নিতে পারেননি।

শাহীন আলী (৫৫) নামের আরেকজন বলেন, এই এলাকার পাশের দরগা শরিফে ওরসের সময় অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। তাঁরা এই গাছগুলোর তলায় সময় কাটান। মানুষের সমাগমের কারণে ভ্রাম্যমাণ কিছু খাবারের দোকানও বসে প্রতিদিন।

গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউন্নবী এবং প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁদের কথায় সাড়া না দিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা গাছ সংরক্ষণের দাবি জানান। পরে কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে চলে যান দুই কাউন্সিলর।

প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকার কিছু যুবক শুধু বর্জ্যের দুর্গন্ধের কথা ভেবে কাজে বাধা দিয়েছেন।

সরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানানো হবে। তবে তিনি যদি না চান, তাহলে এই জায়গায় এসটিএস নির্মাণ করা হবে না।

এবিষয়ে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, বড়কুঠি এলাকায় মুনসগার্ড পার্কের সামনে বর্জ্যের একটি স্টেশন আছে। কিন্তু এটি নিয়ে প্রায়ই মানুষের আপত্তি শুনতে হয়। তাই সেটি দরগাপাড়ায় সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবার ভালোর জন্যই এ কাজ করা হচ্ছে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top